চেন্নাই, ১১ এপ্রিল : তিনি কি খুব বিরক্ত তাঁদের দুই ওপেনারের উপর? সেরকমই মনে হল। শুক্রবারের ম্যাচে রাচিন আর কনওয়ের কেউ রান পাননি। ৫৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ হেরে এমএস ধোনি বলছিলেন, আমাদের ওপেনাররা দারুণ। কিন্তু সবাইকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে। অন্যদের দেখে নয়। একটা চার বা ছয় হলেই হয়। বোর্ড দেখে ডেসপারেট হলে চলবে না।
আরও পড়ুন-জ্বালিয়ে দেব! হুঙ্কার দেওয়া সেই শিক্ষক আসলে সিপিএম ক্যাডার
এই ম্যাচ থেকে ক্যাপ্টেন কুল আবার সিএসকের দায়িত্বে। খেলার আগে বলছিলেন ঋতুরাজের মতো ব্যাটারের না খেলতে পারা তাঁদের জন্য বড় ধাক্কা। খেলার পর ধোনি বলেন, বোর্ডে রান ছিল না। পাওয়ার প্লে-তে বল থেমে থেমে এসেছে। এটা অবশ্য এখানে নতুন কিছু নয়। কিন্তু বেশি উইকেট চলে গেলে পরের দিকে মুশকিলে পড়তে হয়। ওদের দলে কোয়ালিটি স্পিনার ছিল। তবে আমাদের এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।ধোনি যখন এসব বলছেন, তখন রাহানের গলায় উচ্ছ্বাসের সুর। জয়ের পর যেটা স্বাভাবিক। তিনি বলছিলেন, আমরা একদম পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। আমি, মইন, ব্র্যাভো এখানে খেলে গিয়েছি। জানি কী কন্ডিশন। সেই মতো পরিকল্পনা করেছিলাম। যেটা কাজে দিয়েছে। কিন্তু কী সেই পরিকল্পনা? রাহানে সেটা ভাঙলেন না। বললেন, টুর্নামেন্ট সবে শুরু হয়েছে। এখন এসব কথা বাইরে বলতে পারব না।
এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবলে তিনে উঠে এল কেকেআর। নেট রান রেট ০.৮০। বেশ ভাল। রাহানে জানালেন পাওয়ার প্লে-র পর নেট রান রেটের ব্যাপারটা তাঁদের মাথায় এসেছিল। তারপর খেলাটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে চেয়েছিলেন। জয়ের পর রাহানে তাঁর স্পিনারদের প্রশংসা করে বলেন, নারিন আর বরুণ ওদের চাপে রেখেছিল। হর্ষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছে। তবে আমি মইনের কথাও বলব। দারুণ বল করল। একটা ম্যাচ খেলে বসে গিয়ে আবার ফিরে এসে এমন বল করা সহজ ব্যাপার নয়। রাহানে এদিন শেষপর্যন্ত ২০ রানে নট আউট ছিলেন। জানালেন নিজের ব্যাটিং খুব উপভোগ করছেন। তবে তিনি বেশি দূর তাকাতে চান না। এখন আইপিএল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবছেন না।