মাছ শিকারে দু’মাসের সরকারি ব্যান পিরিয়ড শুরু হচ্ছে কাল

ইতিমধ্যে মৎস্য দফতরের তরফে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছেও চিঠি ও মেল মারফত ব্যান পিরিয়ডের বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে দফতর

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: আগামীকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মৎস্যশিকারের ব্যান পিরিয়ড। প্রায় ৬১ দিন রাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় মৎস্যশিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে নৌকা বা ট্রলার নিয়ে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন দিঘার মৎস্যজীবীরা। ব্যান পিরিয়ড না মানলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে মৎস্যজীবী এবং লঞ্চ ও ট্রলার মালিকদের। ইতিমধ্যে মৎস্য দফতরের তরফে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছেও চিঠি ও মেল মারফত ব্যান পিরিয়ডের বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে দফতর। জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছরেও ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে মাছ ধরায় ব্যান পিরিয়ড।

আরও পড়ুন-বাংলার আকাশে শকুন উড়তে দিচ্ছি না, দেব না

মূলত সামুদ্রিক মাছের প্রজনন এবং সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন রাজ্যে এমন ব্যান পিরিয়ড রাখা হয়। তাই এ সময় রাজ্যের উপকূলের ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মৎস্যশিকারের সমস্ত জলযান নিষিদ্ধ করা হয়। বন্ধ থাকে সব মৎস্য আড়তগুলিও। বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফে ব্যান পিরিয়ড চলাকালীন সমস্ত মৎস্যজীবীদের ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফলে ব্যান পিরিয়ড শুরুর প্রস্তুতিতে নিজেদের নৌকা, ট্রলার, লঞ্চগুলিকে ইতিমধ্যে পাড়ে বাঁধা শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। মৎস্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যে মাইকিং করে প্রচারও হয়েছে। ব্যান পিরিয়ডের সময় মাছ ধরলে পেতে হবে শাস্তিও। নিয়ম অনুযায়ী ট্রলার বা লঞ্চের লাইসেন্স ১ মাস পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হবে। বর্তমানে পেটুয়া, শৌলা, দিঘা, শংকরপুর-সহ মৎস্য আহরণ কেন্দ্রগুলির মৎস্যজীবীরা ট্রলারগুলি পাড়ে রেখে বাড়ি ফিরছেন। কাঁথির সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুমন সাহা জানান, ‘মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে মাইকিং চলছে। ওই সময় কেউ সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির তরফ থেকেও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, ‘১৫ এপ্রিলের আগেই সমস্ত মৎস্যজীবীকে ট্রলার নোঙর করার জন্য বলা হয়েছে। সমস্ত মাছের বাজারও বন্ধ থাকবে।’

Latest article