নববর্ষের প্রাক্কালে পুলিশের মানবিক মুখ দেখে উচ্ছ্বসিত জঙ্গলমহলবাসী

গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের খামার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় দুই শতাধিক দুঃস্থ গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন শাড়ি ও মশারি।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : বাংলা নববর্ষের প্রাক মুহূর্তে জঙ্গলমহলের মানুষ দেখল খাকি উর্দিধারী ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের মানবিক রূপ। নববর্ষের ঠিক আগে রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে বেলিয়াবেড়া থানার সহযোগিতায় এবং পুলিশের ‘সহায় প্রকল্প’-এর আওতায় আয়োজিত হল এক ব্যতিক্রমী সমাজসেবামূলক কর্মসূচি। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের খামার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় দুই শতাধিক দুঃস্থ গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন শাড়ি ও মশারি। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে চালু হওয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘দিশা কোচিং সেন্টার’-এর প্রায় ৩৭৫ জন ছাত্রছাত্রীকে উপহার দেওয়া হল শিক্ষাসামগ্রী ও মশারি।

আরও পড়ুন-মাছ শিকারে দু’মাসের সরকারি ব্যান পিরিয়ড শুরু হচ্ছে কাল

উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সৈয়দ মহম্মদ মামদুল্লা হাসান, ডিএসপি সমীর অধিকারী, গোপীবল্লভপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবাশিস ঘোষ, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধী-সহ পুলিশের একাধিক আধিকারিক। পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানান, ‘ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের ‘সহায় প্রকল্প’-র মাধ্যমে জেলার প্রতিটি থানায় নিয়মিত সমাজসেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এই আয়োজন সেই ধারারই একটি অংশ। ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগ জেলাজুড়ে অব্যাহত থাকবে।’ পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি এলাকার মানুষের কথায়, ‘পুলিশ শুধু কঠোর দমননীতির প্রতীক নয়, মানবিক সহায়তার মাধ্যমও হতে পারে, তা বারবার প্রমাণ করছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ।’ জঙ্গলমহলে শান্তির দূত হয়ে নীরবে সমাজসেবায় নিযুক্ত পুলিশকর্মীরা প্রমাণ করছেন, পলিশ বাহিনীর অনেকেই নিঃস্বার্থে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা কাজও করে যান। নববর্ষে এই মানবিক উদ্যোগ সমাজে পৌঁছে দিল এক ইতিবাচক বার্তা।

Latest article