প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকানোর মূলে বহিরাগতরাই। বিজেপির সাজানো চিত্রনাট্য মেনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মদতে গত কয়েকদিন ধরে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু দূষ্কৃতী। বাংলাকে বদনাম করার এই গভীর ষড়যন্ত্র রবিবারই ফাঁস করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের অভিযোগে যে বাস্তব ছবিটাই উঠে এসেছে তা ফের প্রমাণিত হল সামসেরগঞ্জের বাসিন্দাদের বক্তব্যে।
গ্রামবাসীরা সংবাদমাধ্যমের সামনে ফাঁস করে দিলেন অশান্তির মূলে আসলে কারা। বিজেপির দাবি উড়িয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ বলছেন, যাঁরা এলাকায় ঢুকে মারদাঙ্গা করছে, তারা সবাই বহিরাগত। কারণ, তাদের কেউ চেনে না। এক গ্রামবাসী বলছেন, আমরা বুঝতে পারছি না এরা কারা? কোথা থেকে আসছে? এতদিন এখানে আছি, কোনওদিন দেখিনি। অধিকাংশই ১৪/১৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলে। সবার মুখ ঢাকা। হাতে লাঠি, রড, বেছে বেছে বাড়িতে ঢুকে মারধর করছে। আমরা, আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান তাঁরাও এলাকায় রয়েছেন কিন্তু কেউই তাদের চেনে না। স্থানীয় মুসলিম নেতারাই খবর পেয়ে ছুটে আসেন। তাঁরা সেদিন রুখে না দাঁড়ালে আমরা বড় বিপদে পড়তাম। কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের সুব্রত সরকার-সহ আরও কয়েকজন গ্রামবাসীর দাবি, এখানে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকি। আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। যারা গোলমাল পাকাতে আসছে তারা বাইরের লোক। এলাকার কোনও মুসলিম এ-সবে নেই। উল্টে তাঁদের দাবি, স্থানীয় মুসলিমরাই আমাদের পাশে রয়েছেন। তাঁরাই বলছেন, আপনার নিশ্চিন্তে থাকুন৷ কোনও ভয় নেই। ওঁরাই পাহারা দিচ্ছেন। তাঁদের কথায় উঠে আসছে একটা ভয়ঙ্কর অভিযোগ। এক মহিলা বলছেন, যারা রাতে হামলা করতে এসেছিল তাদের চিনি না। তাদের পরনে বিএসএফের পোশাক ছিল। কিন্তু পায়ে চটি! তাদের প্রশ্ন, বিএসএফ কেন চটি পরে আসবে? প্রশ্ন, তাহলে এরা কারা? কোথা থেকে কী উদ্দেশ্যে এল? নেপথ্যে কারা? কাদের সাজানো এই চিত্রনাট্য? পুলিশ, প্রশাসন তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন- মৃত্যুর রাজনীতি করছে বিজেপি, আম্বেদকর জয়ন্তীতে তোপ তৃণমূলের