প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদে অশান্তির নেপথ্যে কোন রহস্য? কার মদতে জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জে হিংসা ছড়িয়েছে? সেই রহস্যের সমাধান করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা গদ্দার অধিকারী নিজেই। বিধানসভার বাইরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিএসএফকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন গদ্দার। তাঁর মতে, বাংলাদেশ থেকে এসে বাংলাদেশ স্টাইলে লুঠ করেছে! ১০০ কোটি টাকার প্রপার্টি নষ্ট করেছে! এখানেই তৃণমূলের প্রশ্ন, যদি তাই হয়ে থাকে গদ্দারবাবু, তাহলে গাফিলতিটা কার? সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নয়? কারণ, সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার অঞ্চলে নিরাপত্তা-নজরদারির দায়িত্ব তো বিএসএফের হাতে। তাহলে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকছে? এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল। গদ্দারের বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ লিখেছেন— বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ স্টাইলে। এটাই তো আমরা বলতে চাইছি। কেন্দ্রের বিএসএফ কী করছিল? তদন্ত চাইছি।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকেও কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় যে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে একটা নতুন অভিযোগ উঠছে। এলাকার মানুষই বলছেন, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলছে, সেখানে পড়শি দেশ থেকে গুন্ডাবাহিনী এসে উসকানি দিয়ে মানুষের ভিড়কে উত্তেজিত করে হিংসা ছড়িয়েছে, লুটপাট চালিয়েছে। তারপর ‘সেফ প্যাসেজে’ দেশে ফিরে গিয়েছে। আর এখানে বিজেপিকে রাজনৈতিক ইস্যু করার রসদ দিয়ে গিয়েছে। এটা একটা পরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট কিনা, তদন্ত হওয়া দরকার! গায়ে সেনাবাহিনীর পোশাক, পায়ে চপ্পল! আর এটা শুধু আমি বলছি না। বিরোধী দলনেতাও বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এসে বাংলাদেশ স্টাইলে লুটপাট করেছে। সীমান্ত কার পাহারা দেওয়ার কথা? কে ফেল করেছে? বিএসএফ! কে গুন্ডা ঢুকিয়েছে? বিএসএফের একাংশ! কার নির্দেশে ঢুকিয়েছে? দিল্লির একাংশের নির্দেশে! সব মিলিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। বিএসএফ ও গদ্দার অধিকারীর এই মন্তব্যকেও সেই তদন্তের আওতায় রাখতে হবে। আশা করি, বিরোধী দলনেতা মন্তব্য পাল্টাবেন না!
ব্যর্থ বিএসএফ, দুষ্কৃতী ঢুকছে বাংলাদেশ থেকে, ফাঁস গদ্দারের ভিডিও-য়
