প্রতিবেদন : অবাক কাণ্ড! চোরের বদলে বিচারকের বাড়িতেই হানা দিল গেরুয়া পুলিশ৷ যোগীরাজ্যের পুলিশের অপদার্থতা কোন পর্যায়ে নেমেছে প্রমাণ মিলল আবার। তবে এবারের ঘটনাটা আরও মারাত্মক এবং অবশ্যই উদ্বেগজনক। বিচারককেই চোর বানিয়ে দিল পুলিশ! চুরিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে আদালতের আদেশপত্র পৌঁছে দেওয়ার বদলে সেই বিচারকের বাড়িতেই হানা দিল পুলিশ যিনি নিজেই দিয়েছিলেন সেই আদেশ! কিন্তু তখন বাড়িতে কাউকে না পেয়ে আদালতে পুলিশ অফিসার রিপোর্টও দিল তেমন৷ পুলিশের কথা শুনে হতবাক সেই বিচারকই, যাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ৷ যোগীরাজ্যের ফিরোজাবাদের ঘটনা। পুলিশের এই অপদার্থতায় তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারক। আদালতের নির্দেশে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে। তদন্ত শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করছে, সত্যিই নিজেদের হাস্যকর করে তুলেছে যোগীরাজ্যের গেরুয়া পুলিশ।
ঘটনাটা ঠিক কী? আসলে চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরার রাজকুমারের নামের জায়গায় নথিতে জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নাগমা খানের নাম বসিয়ে দিয়েছিলেন সাব ইন্সপেক্টর বানোয়ারিলাল। সেইমতো পুলিশ আদালতের আদেশ পৌঁছে দিতে হাজির হয় বিচারক নাগমা খানের বাড়িতেই। ওই বিচারকই আদেশ জারি করেছিলেন, ফেরার রাজকুমারকে হাজিরা দিতে হবে আদালতে। তা না হলে গ্রেফতার করা হবে। লক্ষণীয়, ২০১২ সালের একটি চুরির মামলায় অভিযুক্ত রাজকুমার ফেরার দীর্ঘদিন ধরেই। অনেকবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি তাকে। এরপরেই রাজকুমারকে অপরাধী ঘোষণা করেন জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নাগমা খান।
ক্ষুব্ধ বিচারকের মন্তব্য, এটা খুবই অদ্ভুত বিষয়, আদালত কী বলছে, কী পাঠাচ্ছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই একজন পুলিশ অফিসারের! এভাবে চললে তো বিচার ব্যবস্থার উপরেই আস্থা হারিয়ে ফেলবে সাধারণ মানুষ! আদালতের মতে, যাঁদের উপরে দায়িত্ব তাঁরাই যদি এমন ভুল করেন এবং তার জবাবদিহি না করেন, তা হলে তো নিয়ন্ত্রণই হারিয়ে যাবে! আদালতের ক্ষোভে রীতিমতো অস্বস্তিতে এবং চাপে পড়ে গিয়েছে যোগীরাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।