প্রতিবেদন : পয়লা বৈশাখে মোহনবাগানের বারপুজোর অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ পেয়েও তা রক্ষা করলেন না ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অথচ, সবুজ-মেরুনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বারপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটালেন। ক্রীড়ামন্ত্রী মোহনবাগানের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। আইএসএল কাপ ফাইনালে যুবভারতীতে ক্রীড়ামন্ত্রীকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানায়নি এফএসডিএল। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন মোহনবাগান সহসভাপতি কুণাল ঘোষ। মোহনবাগানের ভুলটাও ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কুণালের প্রতিবাদের জেরেই ম্যাচের দিন দুপুরে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য হয় এফএসডিএল। কিন্তু অসম্মানিত হওয়ায় যুবভারতীর ফাইনাল বয়কট করেন অরূপ। এই ঘটনাই নববর্ষে অরূপ বিশ্বাসের ক্লাবে না আসার কারণ বলেই মনে করছেন মোহনবাগান সচিব।
আরও পড়ুন-ট্রফি ও ভোটের আবহে এএফসি-র শপথ বাগানে
বারপুজোর দিন মোহনবাগান ক্লাবে ক্রীড়ামন্ত্রীর গরহাজির থাকা নিয়ে সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘ক্রীড়ামন্ত্রীর না আসাটা দুঃখজনক। কষ্ট পেয়েছি। এফএসডিএলের দোষের শিকার হলাম আমরা। শাস্তি পেল মোহনবাগান। আশা করি, এই অভিমান ভাঙবে। মোহনবাগানকে আবার বুকে টেনে নেবে অরূপদা।’’
মোহনবাগানের সহসভাপতি কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ক্লাবের তরফে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই শুনেছি। তিনি শুধু রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী নন, একজন আদ্যন্ত ক্রীড়াপ্রেমীও। আগে উনি মোহনবাগান ক্লাবের সহসভাপতিও ছিলেন। সেই তিনিই কেন আমন্ত্রিত হয়েও মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে এলেন না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’’