প্রতিবেদন : মানুষের ভোটে জেতার দম নেই। শুধু ভুয়ো খবর ছড়িয়ে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিজেপি। কখনও বাইরের রাজ্যের হিংসার ছবি, কখনও আবার বাংলারই কোনও পুরনো ‘দুর্ঘটনা’র ছবি প্রচার করে মানুষের মনে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করাই বঙ্গ বিজেপির যেন একমাত্র লক্ষ্য! দলের ট্রেনি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও তাই করেন, দলেরও সেটাই মোটিভ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বিজেপির ভুয়ো ছবি-ভিডিও প্রচারের নোংরা রাজনীতি ধরে ফেলছে। ফাঁস করে দিচ্ছে বিজেপির মিথ্যাচার! সম্প্রতি সুপ্রিম নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষকদের নামেও সেই নোংরা খেলা খেলতে গিয়েছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন-ধর্ষণ মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের মন্তব্য আপত্তিকর, ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
মঙ্গলবার কুলতলির এক শিক্ষকের আত্মহননের ছবি দেখিয়ে ফের মিথ্যাচারের রাস্তা ধরেছিল গেরুয়া ভাঁওতাবাজরা। বঙ্গ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ থেকে সেই ‘আত্মঘাতী’ শিক্ষকের ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, কুলতলির মেরিগঞ্জ তেঁতুলবেড়িয়ার বাসিন্দা প্রণব নাইয়া নাকি চাকরি হারানোর জন্যই আত্মহত্যা করেছেন! কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল আবারও সেই অপপ্রচারের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে। বিজেপির প্রকাশিত মিথ্যা ছবি পোস্ট করে আইটি সেল লিখেছে, ২০১২ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রণব নাইয়া যিনি আজ আত্মহননের পথ বেছে নেন তাকে ২০১৬ সালের বাতিল এসএসসি প্যানেলের শিক্ষক হিসেবে প্রচার করছে বিজেপি!
মঙ্গলবার সকালে কুলতলির বাসিন্দা প্রণব নাইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশকুমার ঢালি জানান, মৃত শিক্ষক প্রণবকুমার নাইয়া ২০১২ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৫ সালে মুর্শিদাবাদের বেগমবাড়ির একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০২২ সালে বদলি হয়ে তিনি জয়নগরের টিএস সনাতন স্কুলে যোগদান করেন। বর্তমানেও সেই স্কুলেই কর্মরত ছিলেন প্রণব। গত শনিবারও তিনি স্কুলে যান। তাঁর চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে। কিন্তু এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়েও অসত্য তথ্য প্রচার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পুলিশের তরফেও সেই ভুয়ো প্রচার নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে৷ পুলিশ সুপার বলেন, অস্বাভাবিক এই মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আমরা এরকম ৩০–৪০ অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছি৷ তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷