প্রতিবেদন : আজ, বুধবার জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমে যাবেন নেতাজি ইনডোরে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও বুদ্ধিজীবীদের সভায়। সেখানে ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে নিজের অবস্থান এবং আগামী দিনের করণীয় বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিকেলে নবান্ন সভাঘরে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, দিঘাকে এবার ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবেও গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। অক্ষয়তৃতীয়ার দিন ৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হবে জগন্নাথ মন্দিরের। মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কোন দফতরের কী দায়িত্ব থাকবে, তারই পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপরেখা এই বৈঠকে তৈরি হবে।
আরও পড়ুন-নববর্ষে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন গান, গাইলেন শ্রীরাধা
আজ নেতাজি ইনডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এছাড়া নাখোদা মসজিদ-সহ কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এর আগে রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ বাকিবিল্লা জানিয়েছিলেন, বাংলায় তাঁরা শান্তি ও সম্প্রতি চান। তিনি বলেন, সব ধর্মের মানুষ চিরকাল একসঙ্গে নির্দ্বিধায় বাংলায় বসবাস করেছে। আগামী দিনেও করবে। আমরা চাই বাংলা তার ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-বৈচিত্র্য সবটা নিয়ে শান্তিতে থাক। ওয়াকফ নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ আছে, থাকবে। কিন্তু কোনও প্রতিবাদই হিংসাত্মক হোক, এটা আমরা কেউই চাই না। তাই বুধবার আমাদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন, তা শুনতে আমরা সকলেই আগ্রহী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তাঁর কাছে সব ধর্মই সমান। তিনি কখনও কোনও ধর্মকে আলাদা করে দেখেননি। তিনি কোনওদিন বিভাজন চাননি। তাই আমাদের সকলেই মুখিয়ে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী দিকনির্দেশিকা পেতে। মঙ্গলবার দুপুরে নেতাজি ইনডোরের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন ইমামরা। ওয়াকফ নিয়ে কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অপেক্ষা তার।