সংবাদদাতা, বীরভূম : কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে অনুমোদনের নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল বীরভূম জেলা কৃষি দফতর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা। এই প্রকল্পে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ২৭৪ শতাংশ অনুমোদন দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর। এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায়। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বীরভূমের কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে জেলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯১টি। সেই জায়গায় লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২৪৯টিকে। অর্থাৎ রাজ্যের এই উদ্যোগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন জেলার চাষিরা। কৃষি আধিকারিকদের মতে, রাজ্যের প্রতিটি জেলার মতো এই জেলাতেও কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য কৃষি পরিকাঠামো তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-এই প্রথম পাহাড়-সমুদ্র-তীর্থযাত্রীদের জন্য ৬ রুটে রাজ্য পরিবহণ চালাবে ভলভো বাস
এই প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়। কৃষি সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে চাষিরা ৩ শতাংশ ব্যাঙ্কের সুদে ছাড় পাচ্ছেন। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ১০ শতাংশ চাষিদের নিজস্ব পুঁজি, বাকি ৯০ শতাংশ ঋণ ব্যাংকের। এর মাধ্যমে সাইলো, কৃষি পণ্যের জন্য পরিবহন যানবহন, প্যাকেজিং ইউনিট, গুদামঘর, মিনি কোল্ড স্টোরেজ, তেল মিল, আটা মিল, কাজুবাদাম প্রসেসিং ইউনিট, কৃষি ড্রোন, হার্ভেস্টার ইত্যাদি কৃষি সরঞ্জাম এবং কৃষি পরিকাঠামোয় ঋণের সুবিধা আছে। রাজ্যের এই প্রকল্পে ব্যাপক উৎসাহ দেখাচ্ছেন বীরভূমের চাষিরা। চাষের ক্ষেত্রে নিজেদের উদ্যোগে অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন তাঁরা। এছাড়াও ফসল মজুত রাখা অথবা সেগুলি বাজারজাত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবহণ ব্যবস্থা রাখায় দারুণ উপকৃতও হচ্ছেন চাষিরা। এই প্রকল্প শুরুর পর চাষিদের আগ্রহ অনুযায়ী তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, উন্নত কৃষি পরিকাঠামো ব্যবস্থা নিয়ে সচেতন করা থেকে শুরু করে তাঁদের হাতে কৃষি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে জেলা কৃষি দফতর। এই কারণেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ২৭৪ শতাংশ অনুমোদনের সাফল্য ছুঁয়ে চলতি আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০টি। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বীরভূম। আগামী দিনেও কৃষি দফতরের এই সাফল্য জেলার চাষাবাদকে উন্নত দিশা দেখাবে।’