প্রতিবেদন : শূন্য থেকে ক্রমে মহাশূন্যের পথে এগিয়ে যাওয়া সিপিএম তথা বামেদের ব্রিগেড নতুন করে তাদের পালে অক্সিজেন জোগাতে পারবে না। কারণ, বাংলার মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বামেরা এই ব্রিগেডে চ্যালেঞ্জের কথা বলছে। কিসের চ্যালেঞ্জ? যত লোক ব্রিগেডে গিয়েছে, তারা বাড়ি ফিরে ভোট দেবে বিজেপিকে। যাবে লাল পতাকা হাতে, ভোট দেবে বিজেপিকে। এই ব্রিগেড নিয়ে তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, এটা একটা কিম্ভূতকিমাকার ব্যাপার, একটা হাঁসজারু ব্রিগেড। ব্রিগেড ডেকেছে বামেরা, যাচ্ছে বিজেপিরা। বামেদের ব্রিগেডে সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, কিছু লোক হয়েছে, লাল পতাকা নিয়ে মিছিল হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর, মৃত তিন
সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা দিয়েছে কিন্তু ভোট দিয়েছে বাড়ি গিয়ে বিজেপিকে। বামেদের ভোট কমেছে। তৃণমূলের ভোট তো কমেনি বরং বেড়েছে আর বিজেপির ভোট সামান্য বেড়েছে। বামেদের এই মিটিং-মিছিল-স্লোগান, বড় বড় কথা, ডায়লগ, ব্রিগেডের এই লোকগুলো সব বিজেপিকে ভোট দেবে। বামেদের দিক থেকে এসব ঘুরে দাঁড়ানোর তাৎপর্য কিছুই নেই। তাৎপর্য হচ্ছে এটা দেখতে এক রকম, ভেতরে আরেক রকম। যাচ্ছে লাল পতাকার মিছিলে, এদিকে ভোট দেবে বিজেপিকে। তাই এর সঙ্গে সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই। এই ব্রিগেড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সিপিএমের ডাকে ব্রিগেড চলো আর বিজেপিকে ভোট দিতে ব্রিগেড থেকে ফেরো, এটাই এবারের এদের স্লোগান। ভোটের আগে ব্রিগেড করেছে, কিছু লোককে এদিক-ওদিক থেকে এনে ব্রিগেড করেছে। কিন্তু ভোটটা কোথায় গেল! সিপিএমের প্রথম সারির নেতারা, সিনিয়র থেকে জুনিয়র, শুধু এদের সিটগুলো হারেনি, তাদের পাড়ার বুথেও হেরেছে। বিজেপির কিছু ভোটার বামেদের মঞ্চ দেখে সেখানে যাতায়াতের ভাড়া পেয়েছে, খাবারদাবারের খরচ পেয়েছে, তারা তাই পিকনিক করতে গেছে। কুণালের সংযোজন, সিপিএম শূন্য শূন্যই থাকবে, ২০২৬-এও কিছু বদলাবে না। তৃণমূলকে চতুর্থবারের জন্য সরকার গড়তে আটকাতে পারবে না।
সিপিএমের সব নতুন প্রজন্ম, আগুন পাখি, তিমি মাছ, সাবমেরিন— এইসব নাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারা তাদের পাড়ায় কীভাবে হারে? পাড়ায় হারে কেন? জামানত জব্দ হয়। একটা বিড়ালকে হলুদ-কালো রং করে বাঘ সাজানো যায় কিন্তু সে যখন ডাকবে ম্যাও ডাকবে, হালুম বেরোবে না, তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের।