জাফরাবাদে মৃতের বাড়িতে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা

এদিকে শনিবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে খুনের ঘটনার অন্যতম মূলচক্রী জিয়াউল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Must read

প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের বাড়িতে রবিবার দেখা করতে যান তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে এক প্রতিনিধিদল। মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যাওয়া এই দলে ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সবরকমভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের এই জনপ্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন-এগরা-কার্নিভালে প্রকাশিত ‘দ্য মমতা ব্যানার্জি ওয়ে’

এদিকে শনিবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে খুনের ঘটনার অন্যতম মূলচক্রী জিয়াউল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪। পুলিশ সূত্রে খবর, সামশেরগঞ্জের সুলিতলার বাসিন্দা জিয়াউল ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। ইতিমধ্যেই ধৃত তিনজনকে জেরা করে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চোপড়া থেকে জিয়াউলকে গ্রেফতার করেন সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। রবিবার তাকে জঙ্গিপুর নিয়ে এসে আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই জিয়াউলকে খুনের ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এদিন তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান ও সামিরুল ইসলাম মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মৃত চন্দন দাসের নাবালক দুই ছেলে এবং কোলের কন্যাসন্তানের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। চন্দন দাসের দুই নাবালক সন্তান যদি বাইরে কোথাও পড়াশোনা করতে চায় তাহলে সেখানেও তাদের পড়াশোনার যাবতীয় ব্যবস্থা দুই সাংসদের তরফ থেকেই করে দেওয়া হবে। রবিবার মৃতদের বাড়ি গিয়ে এই প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের অশান্তির মধ্যেই খুন হন বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। মুখ্যমন্ত্রী আগেই এই পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি রবিবার দলের তরফে এলাকার সাংসদ ও বিধায়কের দল গিয়েও পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস ও ভরসা দিয়ে গেলেন।
জাফরাবাদে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে খুনে সিট গঠন করে তদন্তে নেমেছিল রাজ্য পুলিশ। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই সামশেরগঞ্জের সুতি ও বীরভূমের মুরারই থেকে কালু নাদাব ও দিলদার নাদাব নামে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাদের জেরা করে সুতি থেকেই ইনজামুল নামে এক দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক চক্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Latest article