ব্রিসবেন, ১০ ডিসেম্বর : অধিনায়ক জো রুট ও ডেভিড মালানের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে গাব্বায় পাল্টা লড়াই করছে ইংল্যান্ড। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ৪২৫ রানে শেষ হওয়ার পর, দিনের শেষে ২ উইকেটে ২২০ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। রুট ৮৬ রানে ও মালান ৮০ রানে নক আউট। তবে বিপক্ষের চেয়ে এখনও ৫৮ রানে পিছিয়ে রয়েছেন রুটরা।
এর আগে আগের দিনের ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান হাতে নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ট্র্যাভিস হেড ১৫২ রান করে আউট হতেই দ্রুত গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলীয়দের প্রথম ইনিংস। মিচেল স্টার্ক ৩৫ ও নাথান লায়ন ১৫ রান করেন। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট দখল করেন ওলি রবিনসন ও মার্ক উড। দু’টি উইকেট পান ক্রিস উড।
আরও পড়ুন : কলকাতার ভোট শেষ হলে হবে অন্য পুরসভার
পাল্টা ব্যাট করতে নেমে, স্কোরবোর্ডে ২৩ রান যোগ করতে না করতেই ওপেনার ররি বার্নসের (১৩) উইকেট হারিয়ে বসেছিল ইংল্যান্ড। তাঁকে আউট করেন প্যাট কামিন্স। অপর ওপেনার হাসিব হামিদ ২৭ রান করে স্টার্কের শিকার হন। ফলে ৬১ রানেই ২ উইকেট খুইয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই পরিস্থিতি থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করেন মালান ও রুট। অসমাপ্ত তৃতীয় উইকেটে দু’জনে এখনও পর্যন্ত ১৫৯ রান যোগ করেছেন।
এদিকে, এদিনই ইংল্যান্ডের হয়ে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রান করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন রুট। ২০২১ সালে তিনি এখনও পর্যন্ত ১৩ টেস্টের ২৫ ইনিংসে মোট ১,৫৪১ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের অধিনায়কের সামনে এবার শচীন তেন্ডুলকর ও সুনীল গাভাসকরকে টপকানোর সুযোগ। ১৯৭৯ সালে গাভাসকর মোট ১,৫৫৫ রান করেছিলেন। আর ২০১০ সালে ১,৫৬২ রান করেছিলেন শচীন। এদিকে, একটা সময় সীমিত ওভারের ক্রিকেটারের তকমা এঁটে গিয়েছিল মালানের শরীরে। যদিও স্বয়ং মালান জানাচ্ছেন, টেস্ট ক্রিকেটই তাঁর কাছে শেষ কথা। শুক্রবার ম্যাচের পর মালানের বক্তব্য, ‘‘আপনি টি-২০ বা ওয়ান ডে ফরম্যাটে যত সফলই হোন না কেন, দিনের শেষে আপনার মূল্যায়ন হবে টেস্ট কেরিয়ারের পরিসংখ্যান দেখে।’’