প্রতিবেদন: বাইরের কোনও আততায়ী নয়, কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজি ৬৮ বছরের ওমপ্রকাশকে কুপিয়ে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী পল্লবী। গ্রেফতার করা হয়েছে পল্লবীকে। বেঙ্গালুরুর বাড়িতে রবিবার ওমপ্রকাশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে তাঁর দেহে কোপের পর কোপ মারতে থাকে পল্লবী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রাক্তন ডিজির। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত উঠে এসেছে এই নেপথ্য ঘটনাই। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, হত ওমপ্রকাশের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত জটিল মানসিক বিকার স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বাস্তব থেকে আক্রান্তকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় এই মানসিক অসুস্থতা। মানুষকে করে তোলে অস্বাভাবিক সন্দেহপ্রবণ। স্ত্রীর দীর্ঘ ১২ বছরের এই জটিল মানসিক বিকার এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লাগাতার অশান্তি এই খুনের নেপথ্য কারণ বলে পুলিশের ধারণা। খুনের পরেই এক বান্ধবীকে ভিডিও কল করে পল্লবী বলে, রাক্ষসটাকে মেরে ফেলেছি।
আরও পড়ুন-আদালত কক্ষে মহিলা বিচারককে অশ্লীল মন্তব্য, প্রাণনাশের হুমকি
রবিবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতে তাঁর নিজের বাড়িতে পাওয়া যায় ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস ওমপ্রকাশের রক্তাক্ত দেহ। পাশে পড়েছিল ভাঙা কাচের বোতল আর ছুরি। প্রতিবেশীর ফোন পেয়ে বাড়ি ফিরে ওমপ্রকাশের ছেলে কার্তিকেশ এই বীভৎস দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন। প্রথমেই কার্তিকেশের সন্দেহ হয় মা পল্লবী এবং বোন কৃতিকে। এইচএসআর লেআউট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপরেই পল্লবী আর কৃতিকে আটক করে একটানা জেরা শুরু করে পুলিশ। উঠে আসে একের পর এক নতুন তথ্য। আত্মীয়-বন্ধুরা পুলিশকে জানান, বাড়িতে কারও যাওয়া-আসা পছন্দ করতেন না স্ত্রী পল্লবী। কয়েকদিন আগে দু’জনের ঝগড়া এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয় যে নিজের বাড়ি ছেড়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় আদতে বিহারের চম্পারণের মানুষ ওমপ্রকাশকে। লক্ষণীয়, ভূতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ওমপ্রকাশ ২০১৫ সালে কর্নাটক পুলিশের ডিজি হন। অবসর নেন ২০১৭ সালে।