প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই কাজ করছে এসএসসি। তাই এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ পিটিশনকে দুর্বল করে, আদালত অবমাননার কাজ হয়। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরিহারা শিক্ষকদের এই বার্তাই দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বলেছে চাকরিহারা শিক্ষকদের বেতন নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না৷ তাঁরা যথাসময়েই বেতন পাবেন। তাহলে সেক্ষেত্রে চাকরিহারা শিক্ষকদের এরূপ আন্দোলনের প্রতি যৌক্তিকতা কী তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জেলায় জেলায় স্কুল পরিদর্শকদের কাছে ইমেইল মারফত শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠানো হয়। এই শিক্ষকরা যথাসময়ে বেতন পাবেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বলা হয়েছে, এই তালিকা আর একবার দেখে নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, আপনারা আপনাদের কাজ করুন। আর আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দিন। এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ পিটিশনকে দুর্বল করে, আদালত অবমাননার কাজ হয়।
আরও পড়ুন-হৃষিকেশে র্যাফটিং করতে গিয়ে নৌকা উল্টে তলিয়ে গেলেন যুবক
এদিন মুখ্যমন্ত্রীও মেদিনীপুরের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের কাজে ফেরার কথা বলেন আবার। একইসঙ্গে প্ররোচনায় পা না দেওয়ার বার্তা দেন। এই বক্তব্যের সুরে সুর মিলিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের পাশে আছেন। সুপ্রিম কোর্ট ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে। রাজ্য সরকার বেতন নিশ্চিত করেছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন করছে, আইনি লড়াই লড়ছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের কাজে বাধা দিয়ে কার লাভ হচ্ছে? পাল্টা প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে ১৭ হাজার ২০৬ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী আছেন। তবে এসএসসি আরও একবার তালিকা দেবে সেখানে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কোথাও যোগ্য-অযোগ্য দের তালিকা প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়নি। এসএসসি এই তালিকা তৈরি করে শিক্ষা দফতরকে দিতেই পারে। সেই অনুযায়ী শিক্ষা দফতর কাজ করবে। কিন্তু এর সঙ্গে যাঁরা শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছেন তাঁদের কি প্রয়োজনীয়তা?
ব্রাত্য বলেন, প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে গেছিল। আমাদের আপিলের ভিত্তিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিলিফ পাওয়া গেল। আমরা আবেদন করলাম বলেই এটা হয়েছে। সদিচ্ছা না থাকলে কি এমনটা হত? এখনও পর্যন্ত কি কাউকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়েছে? তা হলে সদিচ্ছা একমাত্র আমাদেরই আছে, পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা আমাদেরই আছে।