প্রতিবেদন: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর জবাব তলব করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর কাছ থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ৷ পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী কেন কোনও ইনপুট দিতে পারল না? কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজে বারবার দাবি করেছেন যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে? কীভাবে কাশ্মীরের স্থানীয় নিরাপত্তা এজেন্সি গুলির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক? কেন সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে অসত্য দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী? কেন দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার মত মূল বিষয়গুলি থেকে সরে গিয়ে শুধু রাজনীতির কারবার করেছেন অমিত শাহ? বুধবার প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ৷ এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিশানা করে সাগরিকা ঘোষের দাবি, এটা দায়বদ্ধতার সময়, জবাবদিহি করার সময়৷ এখন লাল কার্পেটের রাজনীতির সময় নয়৷
আরও পড়ুন-সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত বনধ পহেলগাঁওতে
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের মতই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সহ মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব৷ তাঁর দাবি, মোদি সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা সামনে এসেছে পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়৷ দেশের শত্রুরা যে এই ভাবে আঘাত হানবে, তার কোনও আঁচই পায়নি মোদি সরকার৷ তাদের ব্যর্থতার কারণেই প্রাণ গেছে অসহায় নাগরিকদের৷ এর দায় এড়াতে পারে না মোদি সরকার৷ দেশের আভ্যন্তরীণ সুরক্ষাকেও আজ জুমলাতে পরিণত করেছে বিজেপি ও মোদি সরকার৷
একইসুরে মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছেন বর্ষীয়ান আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং৷ তাঁর কথায়, এই জঙ্গি হামলা আমাদের দেশের গোয়েন্দা ব্যর্থতার একটা বড় প্রমাণ৷ মোদি সরকার দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখার জন্য যে একেবারেই সঠিক দিশায় চলছে না, তার প্রমাণ দিয়েছে এই নৃশংস জঙ্গি হামলা৷ শিবসেনা(উদ্ধব)-র সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি, মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতি পুরোপুরি ব্যর্থ৷ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই জঙ্গি হামলা৷ তাত্পর্যপূর্ণ হল, এদিন পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতেও সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ৷