কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গিহানার ঘটনার পর ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলা সক্রিয় হয়ে উঠল। গোটা দেশ তথা আন্তর্জাতিক মহলে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু অনুপ্রবেশ এবং নাশকতা রুখে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। ডায়মন্ডহারবার একটা পর্যটনস্থলও বটে। এখানে সারা বছর বহু মানুষের আনাগোনা রয়েছে। পৈলান থেকে হটুগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার আওতায়। এখানে ঘুরতে আসেন বহু মানুষ। বাইরে থেকেও মানুষ আসেন এখানে। এখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব পেয়ে নবান্নে জানানো হয় পুলিশের তরফে। রাজ্য সরকার অনুমোদন দিতেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে সুন্দরবনের জলসীমান্ত পেরিয়ে এখানে ঢুকতে পারে জঙ্গিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলাকে ৫০০ সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-নিউটাউনে তরুণীকে হেনস্থার প্রতিবাদে ‘খুন’ প্রেমিক
নজরদারি বাড়াতেই এই ৫০০ সিসি ক্যামেরা নানা প্রান্তে বসানো হবে। তার মধ্যে থাকবে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কও। একাধিক থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পথে এই সিসি ক্যামেরা বসবে। পরিবহণ দফতর সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই ৫০০ সিসি ক্যামেরার মধ্যে ২০০ জুম ক্যামেরা এবং ৩০০ বুলেট ক্যামেরা থাকবে। মনে করা হচ্ছে জেলা পরিষদ থেকে এই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হলে এলাকায় নজরদারিতে অনেকটাই সুবিধা হবে।
ডায়মন্ডহারবার জুড়েই উন্নতমানের ক্যামেরা বসবে। এই ক্যামেরাগুলিতে রাতেও স্পষ্ট ছবি আসবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা ছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থায় উপকার হবে। সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলার পর কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি করা হবে। এই কাজ শেষ হলে যেকোন ঘটনার তদন্তেও সুবিধা হবে।