প্রতিবেদন : পাক হামলা রুখতে গিয়ে সীমান্তে শহিদ বাংলার ঝন্টু আলি শেখ। ভারতমাতাকে রক্ষা করতে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর সেক্টরে শহিদ হয়েছেন নদিয়ার তেহট্টের ঝন্টু আলি শেখ। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে বছর ৩২-এর ঝন্টু।
বিজেপি সমাজমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে হিন্দুত্বের জিগির তোলার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন, তাহলে বাংলার ঝন্টু আলি শেখকে জঙ্গিদের গুলিতে মরতে হল কেন? বাংলার ছেলে ভারতমাতাকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন। ১০ বছর ধরে ঝন্টু সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। জঙ্গি গুলিতে শহিদ ঝন্টুর রক্তের রঙ আর বিজেপি নেতাদের রক্তের রঙ কি আলাদা?
আরও পড়ুন-রাজারহাটের জমিতে হোক ক্রিকেট স্টেডিয়াম : মুখ্যমন্ত্রী
তেহট্টের জওয়ান। বাংলার জওয়ান। সীমান্তে শহিদ হয়েছেন। কাদের রক্ষা করতে গিয়ে? কাদের গুলিতে? পাকিস্তানের গুলিতে। যাঁরা ধর্ম খুঁজছেন কাশ্মীরে জঙ্গি হানায়, তাঁরা বলুন তাহলে বাংলার ঝন্টু শেখকে কেন শহিদ হতে হল? শহিদ তরুণ কৃষক পরিবারের ছেলে। ১২ বছর আর ৮ বছরের দুই সন্তান। তিন ভাইয়ের মধ্যে ঝন্টু ছোট। ঝন্টু সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন। এখনে ধর্ম দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাশ্মীরের ব্যর্থতা ঢাকতে ধর্ম ডেকে আনা হচ্ছে। সীমান্ত থেকে পহেলগাঁও পর্যন্ত জঙ্গিরা এল কী করে? লুকিয়ে রইল কীভাবে? এক তরফা হামলা করল কীভাবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না কেন? গোটাটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যর্থতা। সেখান থেকে নজর ঘোরাতে হিন্দুত্বের জিগির তোলা হচ্ছে। ঝন্টুর ভারতবর্ষকে বাঁচাতে প্রাণ ত্যাগের ঘটনাকে কীভাবে বর্ণনা করা হবে? বিজেপি বিবৃতি দিক ঝন্টুকে নিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না, জাত হয় না। যারা মানুষ মারে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ঝন্টুর পরিবারের পাশেও রাজ্য সরকার থাকবে। যা যা ব্যবস্থা করার করছেন। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাদের মনে করিয়ে দিতে হয়, তাহলে ঘোড়ার পাহারাদার আদিল শেখকে পহেলগাঁওতে কেন জঙ্গিরা খুন করল?