প্রতিবেদন : মোহনবাগানের ধারাবাহিক সাফল্য, আইএসএলে জোড়া মুকুট। পাশাপাশি আত্মপ্রকাশের মাত্র তিন বছরের মধ্যে আই লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কীভাবে ব্যর্থতার আঁধার কাটিয়ে সাফল্যের রাস্তায় ফিরতে পারে? লাল-হলুদের শতবর্ষের ইতিহাস নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রের উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান ও ডায়মন্ড হারবার এফসি-র উদাহরণ টেনে সমর্থকদের মনের কথা বললেন। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, আপনারা ভাল ফুটবলার নিয়ে শক্তিশালী দল গড়ুন। প্রতিদান দিন ইনভেস্টর ইমামিকে। ডায়মন্ড হারবারকে দেখে শিখুন।
ছেলেদের টিমের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মৃদু ক্ষোভও জানিয়েছেন। ইমামি ও ক্লাব কর্তাদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার একটা ক্ষোভ আছে। ইমামি ক্লাবকে অনেক সাহায্য করছে। কিন্তু আইএসএলে লড়াই করতে হলে ভাল ফুটবলার লাগে। দক্ষ ফুটবলার আনুন। এখানেই আমি ক্লাবকে বলব, আপনারা সঠিক পরামর্শ না দিলে ওঁরা (ইমামি কর্তারা) এগোবেন কী করে? কষ্ট পাচ্ছেন তো সমর্থকরা। ১০০ বছর পার করেছে ক্লাব। দল হারলে সমর্থকদের কষ্ট হয়! ক্লাব কর্তাদেরও এগোতে হবে। ইমামি তো সাহায্য করছে। ওরা টাকা দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিদানে ট্রফি তো জিততে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, মোহনবাগান আইএসএল জিতছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো বড় ইনভেস্টর থাকায়। মোহনবাগানের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার এফসি-র সাফল্যের উদাহরণ টানেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবারকে দেখুন, কত কম সময়ের মধ্যে ওরা আই লিগে উঠে এসেছে। মোহনবাগান তো দুর্দান্ত দল গড়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। নিতুদাকে বলছিলাম, আপনারা দলটা ভাল করে গড়ছেন না কেন? বুদ্ধি করে ভাল দল গড়ুন। ডায়মন্ড হারবারকে দেখে শিখুন।
মশালের ইতিহাস নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল’ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেল রবীন্দ্র সদনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে তথ্যচিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সংস্কৃতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে ইস্টবেঙ্গল সভাপতি মুরারিলাল লোহিয়া, শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, সচিব রূপক সাহা এবং ইমামি কর্তাদের সঙ্গে ছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, সৃঞ্জয় বোস, মহামেডান কর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিন, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। তথ্যচিত্রের পরিচালক জাতীয় পুরস্কারজয়ী গৌতম ঘোষকে সংবর্ধিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সংবর্ধিত করেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কেও। মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে। দর্শকাসনে ছিলেন ঝুলন গোস্বামী, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, মদন মিত্র-সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। ছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন-বিতানের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রাউড ফান্ডিং! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাঙ্কে ১.২৫ কোটি!
সদ্য আইডব্লুএল জিতে ভারতসেরা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল। সুইটি দেবী, আশালতাদের সংবর্ধিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা দলের হাতে ট্রফিও তুলে দেন। মেয়েরাও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দেন। লাল-হলুদের মেয়েদের সাফল্যে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মেয়েরা জিতে এসেছে। ওরা তো ইস্টবেঙ্গলের অহংকার। গোটা দলকে অভিনন্দন। দলের কোচকেও শুভেচ্ছা। গর্বের ব্যাপার হল ওরা এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে। আশা করব, সেখানেও জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আগাম শুভেচ্ছা রইল।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা তিন প্রধানকেই অর্থ সাহায্য করেছি। যখন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম, অলিম্পিকে খারাপ ফলের পর পার্লামেন্টে বক্তব্য রেখেছিলাম। বলেছিলাম, খেলাটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। অ্যাকাডেমি তৈরি না হলে, খেলোয়াড়দের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ না দিলে কীভাবে ভাল পারফরম্যান্স করবে? আমার সময়ে অনেক অ্যাকাডেমি তৈরি করেছি। একটা সময় ক্রীড়াক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল ১২৬ কোটি। আমার আসার পর তা বেড়ে হয় ৮৪০ কোটি। ৪০০-র বেশি খেলার মাঠের উন্নয়ন হয়েছে। ফিফাও আমাদের প্রশংসা করেছে।’’
ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) শতবর্ষের ইতিহাস নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেও কলকাতায় ক্রিকেটের নতুন স্টেডিয়াম করার জন্য সিএবি-র কাছে আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। জমির বিষয়েও দিলেন আশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি স্নেহাশিসকে বলব, সৌরভের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তোমরা ডুমুরজলায় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি করে নাও। ওই জায়গাটা তোমাদের জন্য রাখা আছে। ওখানে সিএবি-র স্টেডিয়াম করার কথা ছিল। কিন্তু একটা জলাশয়ের জন্য কিছু কেস-টেস হয়েছে। তাই ঝামেলায় জড়িয়ে লাভ ন…