বাতাসে আজ একটু বেশিই মনের গন্ধ— ম-এ মাতৃত্ব, ন-এ নারীত্ব! ইতিহাস সাক্ষী, ভারতীয় নারীরা যুগ যুগ ধরেই সমস্ত বাধা বিপত্তিকে মনের জোরে জয় করেই জগৎ সভ্যতার সামনে তুলে ধরেছেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন। কবি সুকান্ত একদিন ওঁদের উদ্দেশ্যেই লিখেছিলেন, কে বলেছে নারী শক্তিহীন? সে তো শুধু মমতাময়ী নয়, সে তো আগুনের মতো জ্বলে/ অশান্তির আঁধার হরণ করে— সে তো ভোরের নতুন সূর্য। হীরক জয়ন্তী ছুঁয়ে ফেলা স্মৃতি রেখা চাকমা বা তাঁর চেয়ে বছর তিনেক ছোট সবরমতী টিকি, কিংবা অষ্টাদশী শীতল দেবী— এই তিনকন্যা তাঁদের দৈহিক, সামাজিক, মানসিক সকল প্রকার কমতি উপেক্ষা করে নিজেদের মেধা ও প্রতিভার মধ্য দিয়ে নারীত্বকে উন্নীত করেছেন।
আরও পড়ুন-উত্তর দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নজর ঘোরাতে হাওয়া গরমের পুরনো খেলা, পাঁচ প্রশ্নের মিলল না উত্তর
শীতল দেবী
ধনুকের ডগায় সূর্যের আলো, সে তাক করে দূর দিগন্তে— চোখে সাহস, বুকে আগুন, সে নারী ধনুর্ধর, ভয় তার অচিন্ত্যে। তিনি শীতল দেবী— এমন একজন যাঁর হাত নেই তবুও তিনি চ্যাম্পিয়ন ধনুর্বিদ, আর্মলেস আর্চার! পৃথিবীর ভূস্বর্গ ভারতবর্ষের জম্মু ও কাশ্মীরের কিশ্তওয়ার জেলার লোইধার গ্রামের জাফরান ও নীলকান্ত স্ফটিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বুকে জন্ম গ্রহণ করেন শীতল, পুরো নাম শীতল দেবী। সেদিন ছিল ২০০৭ সাল, ১০ জানুয়ারি। সাধারণ পরিবারের সাধারণ প্রত্যাশা। কিন্তু সবটুকু আশার আলোই যেন ওইদিন নিভে গিয়েছিল। ছোট্ট শীতল কোনও হাত ছাড়ায় জন্মেছিলেন!
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শীতল একটি বিরল শারীরিক পরিস্থিতির শিকার— মেডিক্যাল সায়েন্সে একে বলে ফোকোমেলিয়া, যার ফলে আক্রান্তের শরীরে হয় হাত নয় পা, কিছু একটা অনুপস্থিত থাকে। এটি জন্মগত ত্রুটি, এই বিরল কন্ডিশনে অধিকাংশ সময় কোনওপ্রকার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হয় না। আবার যদিও বা হয় সেটা বিকৃত— অনেক সময় পাখনার মতো অঙ্গ সংলগ্ন অংশ হিসেবে! শীতল দেবীর ক্ষেত্রে কোনপ্রকার হাতই ছিল না। দুঃখের বিষয়, ডাক্তার এবং গবেষক সকলে মিলে এই ফোকোমেলিয়া হওয়ার সঠিক কারণ আজও খুঁজে পাননি। তবে মায়েদের গর্ভাবস্থায় তাঁদের নানারকম সাধারণ শারীরিক কষ্ট কমাবার জন্য অনেকসময় থ্যালিডোমাইড ড্রাগ প্রেসক্রাইব করা হয়। অনেকেই মনে করেন, এই ওষুধ খাওয়ার ফলেই মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তান ফোকোমেলিয়ায় আক্রান্ত হয়। সে যাই হোক না কেন, শত বাধা সত্ত্বেও শীতলের বেড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে ওঁর মায়ের বড় ভূমিকা।
মায়ের তৎপরতায় ২০০৯ সালে শীতল গিয়ে পৌঁছেছিলেন ইন্ডিয়ান আর্মির রাষ্ট্রীয় রাইফেল ইউনিটের একটি বিশেষ আয়োজনে। দেখা হয় পৃথিবীর প্রথম হাত নেই অথচ চ্যাম্পিয়ন ধনুর্বিদ আমেরিকার ম্যাট স্টুটজম্যান। তিনি তাঁর দুটি পায়ের সাহায্যে ধনুক চালিয়ে পৃথিবী জয় করেছেন। তাঁর কথা ও কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে শীতলের মনে জেগেছিল আশা ও জেদ। ওঁরাই শীতলের পড়াশোনা এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তাঁর স্ফূর্তি এবং দক্ষতা দেখে কোচ অভিলাষা চৌধুরী ও কুলদীপ ওয়াধবনের নজরদারিতে শুরু হয় ধনুর্বিদ্যার প্রশিক্ষণ।
প্রফেশনাল আর্চারি কম্পিটিশনে প্রবেশ ২০২২ সালে, এশিয়ান প্যারা গেমসের মাঠে, এসেছিল দুটি গোল্ড এবং একটি সিলভার মেডেল জয়ের সাফল্য। এরপরই ২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড প্যারা আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে সিলভার মেডেল এবং ২০২৪ এর প্যারা-অলিম্পিকে টিমমেট রাকেশ কুমারের সঙ্গে মিক্সড টিম কম্পাউন্ড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে দেয়। তিনি হয়ে ওঠেন বয়সে সবচেয়ে ছোট ভারতীয় প্যারা-অলিম্পিক পদকজয়ী। ছিনিয়ে নেন বিশ্বের প্রথম মহিলা ধনুর্ধর, যাঁর কোনও হাত নেই। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পৃথিবীর এক নম্বর প্যারা-আর্চার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। ভারত সরকার তাঁর এই অনবদ্য সাফল্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। তাঁকে দেখে বহু নারী আজ স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে মাঠে নামছে। অবশ্য শীতল এই সাফল্যের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তাঁর মাকে উৎসর্গ করেছেন।
স্মৃতিরেখা চাকমা
ওঁরা তাঁত বোনে সকাল-বিকেল, সুতোয় মিশে থাকে আপনার গান। আঁচলে ধরে রঙের গল্প, স্নেহের পরশ ঢালে মায়ের মতন। সংস্কারের সুতোয় গাঁথা পড়ে সংস্কৃতির প্রাণ। নাহ্ কোন বৈদ্যুতিক তাঁতের যন্ত্রণা নয়, বরঞ্চ হাতে বোনা তাঁত লয়েন লুমের শিল্পীরা আজও প্রকৃতির টানে এভাবেই জীবনের গান গায়! ঠিক যেমনটা স্মৃতিরেখা চাকমা তাঁর পুরো জীবনটাই এই ঘরোয়া তাঁতের জন্যই উৎসর্গ করেছেন। তিনিও একজন লয়েন লুমের তাঁত শিল্পী। শুধু কি তাই, তিনি তাঁর সবটা দিয়ে ওই ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক শিল্পের সংরক্ষণ করে চলেছেন।
স্মৃতিরেখা চাকমা ত্রিপুরার চাকমা জনগোষ্ঠীতে ১৯৬৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ত্রিপুরার চাকমা সম্প্রদায় একটি স্বতন্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী, যারা মূলত ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য ও অরণ্যপ্রধান এলাকায় বসবাস করে। এঁরা সাধারণত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও এঁদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজব্যবস্থা রয়েছে। চাকমা ভাষা যদিও একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, তবে এর মধ্যে পালি ও সংস্কৃতের প্রভাব স্পষ্ট। চাকমারা অবশ্য বাংলা বোঝেন এবং অনেক সময়ই ব্যবহার করেন। চাষবাস, বিশেষ করে জুম চাষ এঁদের প্রধান জীবিকা নির্বাহ হলেও হাতে বোনা তাঁত লয়েন লুম ওঁদের প্রাণ ও ঐতিহ্য। স্মৃতিরেখা চাকমা ওই ঐতিহ্যকে প্রাণপণে রক্ষা করে চলেছেন।
লয়ন লুম হল একটি ঐতিহ্যবাহী, হাতে চালিত তাঁতযন্ত্র, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়, বিশেষত চাকমা, মিজো, নাগা ও অরুণাচলের কিছু উপজাতির মধ্যে ব্যবহৃত হয়। এই তাঁত যন্ত্রটি পরিচালিত হতে কোনও বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজন হয় না। তাঁত বোনার সময় তাঁতির কোমরে একটি দণ্ড বাঁধা থাকে, আর একটি স্থির থাকে দেয়ালে বা গাছে বাঁধা। এই দুইয়ের টানে তাঁত তৈরি হয়। এটি সহজে বহনযোগ্য এবং ভাঁজ করে রাখা যায়। তবে লয়ন লুম শুধু একটি তাঁত যন্ত্র নয়, এটি আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি, পরিচয় ও আত্মনির্ভরতার প্রতীক। প্রতিটি নকশা, রঙের ছোঁয়া, ও কাপড়ের ধরনে সেই সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য প্রতিফলিত হয়।
স্মৃতিরেখা ছোটবেলায় দেখতেন তাঁর ঠাকুমা এভাবেই একটি লয়েন লুমে কাপড় বুনতেন। সেই ছিল তাঁর অনুপ্রেরণা। তিনিও নিজেকে একজন সিদ্ধহস্ত তাঁতশিল্পী হিসেবেই তৈরি করেছেন। পৌঁছেছেন খ্যাতির শীর্ষে। এই শিল্প পুরোটাই প্রাকৃতিক, দেখা যায় কাপড় বোনার সময় অনেক ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয়— যেমন গাছের ছাল, পাতা, ফুল, বীজ ইত্যাদি থেকে রং তৈরি। স্মৃতি রেখাও তাঁর কাজের জন্য নানারকম গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ, পাতা, শিকড় জোগাড় করে সেগুলো শুকিয়ে, মাড়িয়ে নানারকম রং নিঙড়ে নেন। এইপ্রকার পরিবেশ বান্ধব প্রথাগত উদ্যোগ বাঁচাতে তিনি মরিয়া।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য তিনি গ্রহণ করেছেন আরও একটি উদ্যোগ— তৈরি করেছেন উজেয়া জাধা। এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ, যা কিনা ত্রিপুরার চাকমা সম্প্রদায়ের ট্রাডিশনাল তাঁত শিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ ও আদিবাসী নারীদের তাঁত শিল্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে তুলছেন। এই উদ্যোগের ফলে চাকমা সম্প্রদায়ের নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ট্রাডিশন ছড়িয়ে পড়ছে এবং নারীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। স্মৃতিরেখা চাকমার এই ধরনের মহতী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার ২০২৪ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
আরও পড়ুন-বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা মিটিয়ে নজির রাজ্যের
সবরমতী টিকি
মাঠজোড়া সবুজের চাদরে, জৈব চাষে হেসে ওঠে মাটি, তাঁর মুঠোয় বীজ, তাঁর কণ্ঠে গান— নতুন দিনের আশায় বাঁচে সকল চাষি! তিনি ভারতবর্ষের সেলিব্রেটি অর্গানিক ফার্মার, জৈব চাষি ও পরিবেশ সংরক্ষক সবরমতী টিকি। সকলের প্রিয় টিকি আপা। ১৯৬৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কাছাকাছি নায়াগড় জেলায় সবরমতী পিতা পদ্মশ্রী প্রফেসর রাধামোহনজির ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর বাবার সঙ্গেই সবটা দিয়ে জৈব চাষের প্রচার প্রসারে নিয়োজিত প্রাণ।
রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্থাৎ কীভাবে গ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন করা যায় এবিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি বিদেশি সংস্থা অক্সফামে চাকরি নেন। কিন্তু তাঁর মন সবসময় মাটির কাছেই ফিরে আসতে চাইত! তখন ১৯৮০ সাল, তাঁর বাবা অধ্যাপক রাধামোহনজি ওড়িশাতেই বেশ অনেকটা ওয়েস্টল্যান্ড অর্থাৎ পতিত জমি কেনেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাপ বেটি দু’জনের মন এবং মস্তিষ্ক জুড়ে রয়েছে অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব চাষের পরিকল্পনা। তাঁরা একত্রে অর্গানিক ফার্মিং টেকনিক ব্যবহার করে ওইসব পতিত জমিগুলোকে সম্পূর্ণ আবাদযোগ্য করে তোলেন। একটা সময় দেখা যায় তাঁরা ওড়িশার বুকে প্রায় ৯০ একর ওয়েস্টল্যান্ডকে অর্গানিক ফার্মে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন।
অর্গানিক ফার্মিং হল একটি পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি, যেখানে রাসায়নিক সার, কীটনাশক বা আগাছানাশক ছাড়াই চাষাবাদ করা হয়। এতে মাটির স্বাস্থ্য ও স্বাভাবিক ঊর্বরতা বজায় থাকে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হয়। অর্গানিক খাদ্য স্বাস্থ্যকর, বিষমুক্ত ও পুষ্টিকর। এটি কৃষকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং পরিবেশ দূষণ কমায়। জলের অপচয় রোধ ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসেও এটি সহায়ক। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য অর্গানিক চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্দেশ্য সফল করে তুলতে অধ্যাপক রাধামোহন জীর মাথায় আসে সামাজিক উদ্যোগ ‘সম্ভব’ এর ধারণা— যা কিনা সাধারণ মানুষের মধ্যে জৈব চাষের উৎসাহ বাড়িয়ে তুলবে এবং দেশজ বীজ বৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করবে।
এই স্বপ্ন পূরণের জন্য টিকি আপা ১৯৯৩ সালে পাকাপাকি ভাবে অক্সফামের চাকরি ছেড়ে ‘সম্ভবে’র কাজে যোগদান করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থা নাকি ৫০০-র বেশি বীজ বৈচিত্র্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। জনসচেতনতা গড়ে তুলতে তাঁরা জমিতে ক্লোভ বিন (ইপোমোইয়া মুরিকাটা), সর্ড বিন (ক্যানাভালিয়া গ্লাডিয়াটা), জ্যাক বিন (ক্যানাভালিয়া এনসিফরমিস)-এর মতো ডাল এবং ব্ল্যাক রাইস (ওরাইজা স্যাটিভা) এর মতো ফসল আবাদ করেছেন। প্রতিবছর আয়োজিত হয় বার্ষিক বীজ উৎসব। পরিবেশের খেয়াল এবং নারীদের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় এলাকায় চলে ‘সম্ভবে’র সৌজন্যে স্ব-সহায়ক দল মা-সরস্বতী। এই সংস্থার সৌজন্যেই ধান উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আনা হয় দ্য সিস্টেম অব রাইস ইনটেন্সিফিকেশন।
সবরমতী টিকির এইসব অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁকে ২০১৩ সালে দেওয়া হয় প্রেরণা অ্যাওয়ার্ড। ২০১৮ সালে একসঙ্গে নারীশক্তি পুরস্কার এবং ইমপ্যাক্ট উইমেন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ভারত সরকার তাঁকে ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করে। ২০২২ সালে তিনি হয়ে ওঠেন ইম্প্যাক্ট লিডার অব দ্য ইয়ার এবং ২০২৩-এ তিনি টাইমস পাওয়ার উইমেন ওড়িশা অ্যাওয়ার্ডে অভিভূত হন। নিঃসন্দেহে তাঁর এই প্রাপ্তি বহু নারীর অনুপ্রেরণা হিসেবে চিহ্নিত!
ভারতীয় নারীরা আজ সকল সামাজিক বাধা অতিক্রম করে বহুমাত্রিক সাফল্যের দিগন্তে পৌঁছেছেন। একসময় যে সমাজে তাঁদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিল গৃহকোণেই, আজ সেই সমাজেই তাঁরা বিজ্ঞান, রাজনীতি, শিক্ষা, খেলাধুলা ও শিল্প-সাহিত্য-সহ নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নারীদের এই অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে, সুযোগ ও সহায়তা পেলে তাঁরা যে কোনও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে সক্ষম। পরিবার, শিক্ষা, ও রাষ্ট্রীয় নীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। নারীদের এই অগ্রগতি শুধু তাঁদের ব্যক্তিগত নয়, বরং জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের প্রতীক।