প্রতিবেদন : মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী, সেটা সুপার কাপে তাদের প্রথম ম্যাচেই বোঝা গেল। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও ভুবনেশ্বরে পূর্ণশক্তির কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের দুই গোলদাতা সাহাল আব্দুল সামাদ ও সুহেল ভাট। কেরলের গোলদাতা শ্রীকুট্টন। ত্রিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে এগোল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
নোয়া সাদাউ, জেসাস জিমেনেজজে ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ছয় বিদেশি সমৃদ্ধ কেরলের বিরুদ্ধে মোহনবাগানে মাত্র এক বিদেশি নুনো রেইজ। তবু কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বাগানের দেশীয় ফুটবলাররাই বাজিমাত করলেন। আইএসএলে গেম টাইম কম পাওয়া সাহাল আব্দুল সামাদ, আশিক কুরুনিয়ন, দীপেন্দু বিশ্বাস, দীপক টাংরিদের সঙ্গে সৌরভ ভানওয়ালা, আমনদীপ, সালাউদ্দিন আদনানের মতো তরুণরা খেললেন। সবুজ-মেরুন জার্সিতে নজর কাড়লেন তাঁরা। আলাদা করে প্রশংসা প্রাপ্য সালাউদ্দিনের। তরুণ রাইট উইঙ্গার ডান প্রান্ত ধরে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন। সাহালের প্রথম গোলটিও তাঁর অসাধারণ মুভ এবং অ্যাসিস্ট থেকে। সালাউদ্দিনই ম্যাচের সেরা।
আরও পড়ুন-কোটলার ২২ গজে বিরাট-রাহুল দ্বৈরথ
গোলের নিচে নজর কাড়লেন ধীরাজ সিংও। নিশ্চিত কয়েকটি গোল বাঁচালেন ধীরাজ। কোচ বাস্তব রায়ের পরিকল্পনা সফল। চার ডিফেন্ডারের সামনে অধিনায়ক টাংরিকে রেখে রক্ষণ জমাট রাখার চেষ্টা করেছিলেন বাগান কোচ। নোয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচ যে ভুল করেছিলেন, বাস্তব সেটা করেননি। নোয়াকে বক্সে ঢুকতে দেননি। তবে ২২ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সালাউদ্দিনের পাস থেকে কেরল ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান সাহাল।
বিরতির পর ৫২ মিনিটে সুহেল ভাটের গোলে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। গোলটির পিছনে আশিক ও টাংরির কৃতিত্ব। ম্যাচের বাকি সময়ে বাগান ডিফেন্সকে নড়বড়ে দেখিয়েছে। সেমিফাইনালের আগে যা চিন্তায় রাখবে কোচ বাস্তবকে।