বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানোর অভিযোগে কেন্দ্র-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থাকে এবার নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। শীর্ষ আদালত মনে করছে আজকাল বেশিরভাগ অনলাইন মাধ্যমে ‘অশ্লীলতা’ বেশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গবই এবং বিচারপতি এজি মাসিহ্র বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন ‘ওভার দ্য টপ’ (ওটিটি) সংস্থা, সমাজমাধ্যম এবং অনলাইন ‘সার্চ ইঞ্জিন’কে নোটিশ পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে তালিকায় রয়েছে অ্যামাজ়ন প্রাইম, নেটফ্লিক্স, অল্টবালাজি, উল্লু ডিজিটাল, এক্স, মুবি, গুগ্ল, মেটা এবং অ্যাপল।
আরও পড়ুন-কুনোয় পাঁচ শাবকের জন্ম দিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা নিরভা
এদিন আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানান, এই ধরণের বিষয় রীতিমত উদ্বেগের বিষয়। সমাজমাধ্যমে এই ধরনের বিষয়বস্তু ছড়িয়ে পড়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কী অবস্থান, সেটাই জানতে চান বিচারপতি গবই। আবেদনকারী অ্যাডভোকেট জানিয়েছিলেন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের মত, ওটিটি মুক্তির আগে কোনও সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় না, যার ফলে অশ্লীল দৃশ্য, সহিংসতার অপব্যবহার এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায়শই যথাযথ সতর্কতা ছাড়াই এই ধরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার উদ্দেশে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। সলিসিটর জেনারেল এই মর্মে জানান, কিছু সাধারণ অনুষ্ঠানেও ‘অশ্লীল বিষয়বস্তু’ থাকছে। কিছু অনুষ্ঠান ‘বিকৃত’ হওয়ার এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে পরিবারের সাথে সেসব দেখা একপ্রকার দুষ্কর। কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তবে আরও কিছু বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
আরও পড়ুন-‘টেররিস্ট’-কে ‘মিলিট্যান্ট’ বলে চাপে সংবাদমাধ্যম, কড়া চিঠি কেন্দ্রের
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রণবীর ইলাহাবাদিয়ার মামলাতেও অনলাইন মাধ্যমে কিছু বিষয়বস্তুর উপর নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রকে পদক্ষেপের কথা বলেছিল। এবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত আবার অনলাইন মাধ্যমের বিষয়বস্তু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল। এদিন আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে ওটিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আপত্তিকর বিষয়বস্তু প্রদর্শনের বিষয়টি সমাধানের জন্য কেন্দ্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা “সামাজিক দায়িত্ব” পালন করতে হবে। অনলাইন কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণ এবং কঠোর নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য একটি জাতীয় কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তৈরী করার কথা এদিন জানানো হয়েছে।