উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা

এতদিন ধরে জগন্নাথধাম তৈরির কাজ চলছিল। চর্চা তো ছিলই। এবার সেই ঐতিহাসিক মহেন্দ্রক্ষণে এসে মানুষের ধৈর্যের বাঁধ যেন মানছে না।

Must read

প্রতিবেদন : মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান শেষে জগন্নাথধামের চৈতন্যদ্বারের বাইরে বেরোতেই এক সাধুবাবা মাথায় হাত রাখলেন। জয় জগন্নাথ বলে ফুল দিয়ে আশীর্বাদ করে বললেন, জগন্নাথ মহাপ্রভু আপনাদের কল্যাণ করুন। মঙ্গল হোক। বলেই নিমেষে মিলিয়ে গেলেন। খানিকটা বিস্মিত হলেও বুঝতে অসুবিধে হল না দিঘার মননে জগন্নাথ মহাপ্রভু ইতিমধ্যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছেন। দিঘার মানুষ বা এই জেলার মানুষ এখন কথা শুরু করছেন জয় জগন্নাথ দিয়ে। যেমনটা পুরীতে শুনে আমরা অভ্যস্ত।

আরও পড়ুন-সক্রিয় ৫ মন্ত্রী, শীর্ষ আমলারা, তারকাদের ঢল নামল সমুদ্রনগরী দিঘায়

এতদিন ধরে জগন্নাথধাম তৈরির কাজ চলছিল। চর্চা তো ছিলই। এবার সেই ঐতিহাসিক মহেন্দ্রক্ষণে এসে মানুষের ধৈর্যের বাঁধ যেন মানছে না। আকুল অপেক্ষা কখন একবার ভিতরে ঢুকে মহাপ্রভুর দর্শন করা যাবে। সেই সুযোগ আসছে বুধবার বেলা তিনটের পর দ্বারোদ্ঘাটনের পর। আমজনতা ঢুকতে পারবেন জগন্নাথধামে। দিঘায় এখন উৎসবের মেজাজ। সৈকত শহরে যখন মানুষের ভিড় আছড়ে পড়ে তখন চোখে পড়ে এই উৎসবের মেজাজ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে গোটা দিঘা বা বলা ভাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়েই উৎসবের মেজাজ। কারণ জগন্নাথধামের উদ্বোধন। আমন্ত্রিত অতিথিরা তো আছেনই, এছাড়াও যাঁরা সশরীরে এখানে পৌঁছতে পারেননি সেই সব মানুষজন টেলিভিশনে পর্দায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রেখেছেন এই অনুষ্ঠানে। রাস্তায়, দোকানে, বাড়িতে সর্বত্র এখন একটাই আলোচনা। ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে চাইছেন সকলেই। যতদিন বাংলা থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিন সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

Latest article