অক্ষয় তৃতীয়ায় দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple)। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বাংলার সব মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে দিঘার জগন্নাথধামের প্রসাদ। সঙ্গে যাবে জগন্নাথদেবের ছবি। শুধু তাই নয়, ভারতের স্বনামধন্য মানুষদের কাছেও প্রসাদ যাবে। দিঘা থেকেই মন্দির উদ্বোধনের সময় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রসাদ ও জগন্নাথ দেবের ছবি নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেলেন কাউন্সিলর। প্রসাদ বিলির ছবি দেখা গেল রাজারহাট–গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন-‘মানুষ মুসলিম, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যাক সেটা চাই না’ আবেগপ্রবণ বিনয় নরওয়ালের স্ত্রী
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জগন্নাথ দেবের মূর্তি হাতে এলাকার সব বাড়িতে গিয়ে প্রসাদ বিতরণ করলেন বিধাননগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রনাথ বাগুই। দিঘার জগন্নাথধাম থেকে ২ লক্ষ প্যাকেট প্রসাদ এসে পৌঁছেছে রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।মন্দিরে ঢোকার আগে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সম্প্রীতির বার্তা স্পষ্ট হয়ে গেল জনসাধারণের কাছে। তিনি জানিয়েছিলেন, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ ও ছবি। এবার সেই মতো কাজ হল। বাড়িতে প্রসাদ পেয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে খুশি উত্তেজনা ছিল দেখার মত।
আরও পড়ুন-নিষ্ক্রিয় নীতীশের পুলিশ, ট্যাঙ্কার উল্টে যেতেই তেল লুট
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারোদ্ঘাটনের সময় গতকাল বলেছিলেন, ‘’আমি মনে করি, এই মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান এবং পর্যটনস্থল হিসাবে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে। এই মন্দির সকলের জন্য। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, সবারে করি আহ্বান। সমস্ত ধর্ম বর্ণের মানুষ এসেছেন এখানে। প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। মন্দির চত্বরে ৫০০ গাছ লাগানো হয়েছে। আগামীদিন সবার বাড়িতে ছবি ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’