দিঘায় অসাধারণ মন্দির তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী

পুরীর জগন্নাথধামের দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন

Must read

প্রতিবেদন : দিঘার (Digha Jagannath temple) জগন্নাথ মন্দিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে অযথা বিতর্ক বন্ধ করতে বললেন পুরীর দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণদাস মহাপাত্র। পুরীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, যেখানে জগন্নাথদেবের মন্দির হয় আমাদেরকে ডাকলে আমরা যাই। কিন্তু তাই নিয়ে বিভেদ তৈরি করা ঠিক নয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের তুলনা টেনে যে একটা অন্য রং চড়ানো হচ্ছে। সেটা একদমই ঠিক নয়। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় যে মন্দির বানিয়েছেন তা অত্যন্ত সুন্দর। ওখানেও নিমকাঠের মূর্তির পুজো হবে। পাথরের মূর্তি ওখানে থাকবে। পুরীর জগন্নাথের থেকে বিশ্বের যে প্রান্তে যত জগন্নাথদেব আছে তাদের নিয়ম আলাদা। পুরীর জগন্নাথধাম চারটে ধামের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ধাম। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যতবার ভোগ হয়, পুজো হয় সেটা ভারতবর্ষের কোথাও হয় না। পুরীর জগন্নাথের যে ইতিহাস আছে সেই ইতিহাস আর কোথাও তৈরি হবে না। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি হচ্ছে। জগন্নাথদেবকে নিয়ে যত প্রচার, প্রসার হবে ততই ভাল হবে। আগে সেবায়েতরা হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে জগন্নাথদেবের প্রচার চালাতেন।
সম্প্রতি দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে পুরীর কয়েকজন।
কিন্তু তাদের এই আপত্তি যে কতটা ঠুনকো তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরীর রামকৃষ্ণদাস মহাপাত্র। উল্লেখ্য, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন রামকৃষ্ণদাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্দির তৈরি এবং উদ্বোধন পর্ব ঘিরে সব কর্মকাণ্ডেই জড়িয়ে ছিলেন। উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে দিঘায় থেকে পুজোপাঠ-মহাযজ্ঞ, সব কিছুতেই থেকে শামিল ছিলেন। এমনকী ভোগ রান্নার বিভিন্ন দিকনির্দেশও করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দিঘার জগন্নাথধামের জড়িয়ে রয়েছেন দ্বৈতাপতি। তাই তিনি জানেন এখানে কী কাজ হয়েছে, কীভাবে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দিঘার জগন্নাথধাম নিয়ে কোনওরকম বিরূপ মন্তব্য শুনতে নারাজ রামকৃষ্ণদাস মহাপাত্র।

আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মিডিয়া জগতে কার্যত কার্ফু! জানাচ্ছে বিশ্ব সমীক্ষা

Latest article