সাত লাখি কলম! মনের মতো লেখার টানে পেন উৎসবে

উদ্যোক্তাদের কথায়, কালির কলমের ঐতিহ্য ধরে রাখাই তাঁদের উদ্দেশ্য। মোবাইল ল্যাপটপের যুগে হাতে লেখার চলই বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

Must read

শাওনি দত্ত: দাম দিয়ে কলমের আঁচড়ের মূল্য দেওয়া যায় না। তা বোঝা যায় বাঙালির পেনের প্রতি আকর্ষণ দেখলে। ল্যাপটপের কি-বোর্ড আর মোবাইলের যুগেও যেভাবে কলকাতা বইমেলা বা কলেজ স্ট্রিটে ছুটে যায় বাঙালি, সেভাবেই তাঁরা ভিড় জমিয়েছেন পেন উৎসব ২০২৫-এ। কারও কাছে নতুন সংগ্রহের টান। কেউ এসেছেন অনেকদিনের শখের পেনটি নিয়ে যেতে। কেউ আবার পেন বিক্রেতাদের টানেই ভিড় জমাচ্ছেন কলকাতার আইসিসিআর-এ।

আরও পড়ুন-রাত-কলকাতার হাট-বাজার

উদ্যোক্তাদের কথায়, কালির কলমের ঐতিহ্য ধরে রাখাই তাঁদের উদ্দেশ্য। মোবাইল ল্যাপটপের যুগে হাতে লেখার চলই বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু পেনের উৎসব তা সত্ত্বেও মাহাত্ম্য হারায়নি। কালির কলম সংগ্রহে মানুষের যে উৎসাহ, তারই প্রমাণ পেন উৎসব ২০২৫। পেনের উৎসব যেখানে, সেখানে দাম থেকে শুরু করে উপাদানের বিভিন্নতা যে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। উদ্যোক্তা সায়ক আঢ্য জানান, পঞ্চাশ টাকা দামের পেনের পাশাপাশি পাঁচ লক্ষ টাকা দামের পেনও রয়েছে সেখানে। সাত লক্ষ টাকা দামের পেন সাজিয়েছেন জার্মানির বিখ্যাত স্টেডলার কোম্পানি। আবার দেশেরই ইন্দোর থেকে আসা ক্লিক পেনের সম্ভারও রয়েছে। কোথাও রয়েছে খাগের কলম, তো কোথাও পেনের সঙ্গে তার চামড়ার খাম।
দামের রকমফের যেমন রয়েছে। তেমনই পেনের বয়সেরও ফারাক রয়েছে এই উৎসবে। কোনওটা ১০০ বছরের পুরনো, আবার কোনওটা ১১০ বছর বয়সি। আবার কেউ এনেছেন সাম্প্রতিককালে ভারতীয় শিল্পের নমুনা তুলে ধরে হাতে তৈরি পেন। লেখার সামগ্রী যেমন রয়েছে, তেমনই পেনের স্ট্যান্ড থেকে কালিও রয়েছে। সেখানেও তুলে আনা হয়েছে প্রাচীনতাকে। কলিকেতা কোম্পানির রক্তকরবী বা নীলদর্পণ কিনতে ক্রেতাদের উৎসাহেও ভাটা নেই।

Latest article