কোটায় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার আগের রাতে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

এই বছর জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।

Must read

ফের গেরুয়া রাজ্যে পড়ুয়ার আত্মহত্যা! ডাক্তারিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র আগের রাতে রাজস্থানের কোটায় (Kota) এক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ কোটায় এক ভাড়াবাড়ির ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ১৮ বছরের ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের শেওপুর এলাকার বাসিন্দা। ডাক্তারিতে প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। আজ,রবিবার নিট পরীক্ষা ছিল। হঠাৎ শনিবার রাতে ওই ভাড়া বাড়ি থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় তিনি তার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কুনাদি থানার স্টেশন হাউস অফিসার অরবিন্দ ভরদ্বাজ বলেন “রাত ১০টার দিকে, তাঁর বাবা তাঁকে দেখতে উপরে যান এবং ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আর সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়”।

আরও পড়ুন-কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা, ওরা ব্যস্ত বিভাজনের তাস খেলতে

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। কিন্তু ঘর থেকে কোনও ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার হয়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ডাক্তারি এবং প্রযুক্তিবিদ্যার প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়ুয়ারা কোটায় যান। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। পুলিশের তরফে খবর, এই তরুণী গত কয়েক বছর ধরে কোটায় ছিলেন। ঘটনার সময় তরুণীর বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন।

আরও পড়ুন-প্রবন্ধে-গল্পে শিশুসাহিত্য

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন বার বার কোটা শহরে পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে? এই বছর জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত বছরে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যার ঘটনা আটকাতে কোটার বিভিন্ন হস্টেল এবং মেসবাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি বিশেষ যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তবে সেটা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। এই যন্ত্রগুলি একটি মোটা স্প্রিং-জাতীয় যেটি ফ্যানের সঙ্গে যুক্ত হত। এই যন্ত্র ব্যবহারের ফলে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা আটকানোও গিয়েছে কিন্তু তারপরেও কোটায় পড়ুয়াদের মৃত্যু বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও এই ক্ষেত্রে উঠছে প্রশ্ন।

Latest article