প্রতিবেদন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকসেনা যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে গুলি চালাচ্ছে ভারতের দিকে, উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে ভারতও, ঠিক তখনই বালুচিস্তানে অকল্পনীয়ভাবে পায়ের নিচে জমি হারাচ্ছে তারা। গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। স্বাধীনতার দাবিতে ফুঁসে উঠছে বালুচ বিদ্রোহীরা। এবার বালুচিস্তানের আস্ত একটি শহরই দখল করে নিল স্বাধীনতাকামী বালুচ লিবারেশন আর্মি (BLA)। কালাত জেলার মাঙ্গোচের শহর। কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে। দু’দিন আগে শুরু হওয়া এই দখল অভিযানের সময় ২২ জন পাকসেনাকে গুলি করে মারে বালুচ বিদ্রোহীরা। গুলি করে মেরেছে বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের ৪ নিরাপত্তারক্ষীকে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাকসেনা ও আইএসআইয়ের মধ্যে সমন্বায়কের ভূমিকা নিয়েছে জিয়া। পাকসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তিকে ওয়ান্টেড হিসাবে ঘোষণা করেছিল বিদ্রোহীরা। এবার তাঁকেও পাকড়াও করল তারা। পণবন্দি করা হয় অনেক পাকসেনাকে। সেনার অস্ত্রশস্ত্রও লুঠ করেছে বিদ্রোহীরা। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দু’মাসের মধ্যেই পাকিস্তান সরকারকে আবার কাঁপিয়ে দিল তারা। মুখোশধারী বালুচ বিদ্রোহীরা প্রথমে দখল করে নেয় কোয়েটা-করাচি হাইওয়ে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায়। কারও সঙ্গে পাক-সেনা বা আইএসআইয়ের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে হলেই, বিদ্রোহীরা হেফাজতে নেয় তাকে। এখানেই শেষ নয়, বালুচ বিদ্রোহীরা (BLA) জ্বালিয়ে দিয়েছে একের পর এক সরকারি দফতর। প্রতিরোধের কোনও সুযোগই পায়নি পাক প্রশাসন।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা যখন ভারতে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্তে লিপ্ত, ঠিক তখনই কিন্তু বালুচ বিদ্রোহীদের মূল টার্গেট হয়ে উঠছে তারাই। গত ২৮ এপ্রিল আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে খুন করে বালুচ লিবারেশন আর্মি। লক্ষণীয়, মাসদুয়েক আগেই কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে শতাধিক পাকসেনা, আধাসেনা এবং আইএসআই সদস্যকে হত্যা করেছিল স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহীরা।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের রিপোর্ট, ক্ষোভ তৃণমূলের