কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর (Basanti) হোগল নদীতে পর্যটকদের একটি বোট ডুবে গিয়েছিল। প্রশাসনের তৎপরতায় এই ঘটনার প্রায় পাঁচদিন পর বোটটিকে উদ্ধার করা গেল। এদিনের ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দু’জন। তবে বোট পাওয়ার পর ওই দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত দুই বোটের কর্মী হলেন জয়ন্ত সর্দার এবং বৃন্দাবন সর্দার। বোটের ভিতরে আটকে যাওয়ায় তাঁরা বাইরে বেরোতে পারেননি। তাই ডুবে মৃত্যু হয় তাঁদের। অবশেষে বোটের ভিতর থেকে ওই দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে রক্তারক্তি, মৃত ২ কিশোর
গত সোমবার কালবৈশাখীর দাপটে ডুবে গিয়েছিল পর্যটকদের এই বোটটি। মোট পাঁচজন সেটাতে ছিলেন। তিনজন কোনওভাবে বোট থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও দু’জনে বোটের ভিতরে আটকে যান। স্থানীয়রা যদিও জানিয়েছিলেন বোটের ভিতরে আরও দুজন আটকে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বোট ডুবে যাওয়ার পরেই উদ্ধারকাজে তৎপর হয় প্রশাসন। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের টিম গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার তল্লাশি চালিয়েছে এবং উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থেকে ডুবুরিদের একটি দল আনা হয়েছিল। বোটটির সন্ধান পাওয়া গেলেও সেটিকে নদী থেকে তুলতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে ডুবুরিদের। দড়ি লাগিয়ে ট্যুরিস্ট বোটটি তোলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। স্রোতের ফলে উদ্ধারকাজ প্রাথমিকভাবে সফল হয়নি। অবশেষে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের উদ্যোগে ভাসমান পল্টুন জেটি এনে শনিবার রাতে বোটটিকে দড়ি ও লোহার চেন ব্যবহার করে টেনে পাড়ের কাছে আনা হয়। রবিবার সকালে ভাটার সময় বোটটিকে জল থেকে তোলা যায়। এরপরেই ভিতর থেকেই নিখোঁজ দুই বোট কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক! বাগনানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত দুই কিশোর-সহ ৩
উল্লেখ্য, বোটটি যেখানে ডুবে গিয়েছিল সেই অংশ ১০০ ফুটের বেশি গভীর ছিল। স্রোতের ফলে উদ্ধার কাজে সমস্যা হলেও শেষমেশ উদ্ধার করা গিয়েছে বোট ও দুজন কর্মীর দেহ।