রবিবার জয়পুরে (Jaipur), নিজের সরকারি বাসভবনে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় ভারত আদিবাসী পার্টির (বিএপি) বিধায়ক জয়কৃষ্ণ প্যাটেলকে। বিধানসভা থেকে প্রশ্ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য টাকার দাবি করা হয়েছিল, এমনই অভিযোগ উঠেছে রাজস্থানের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে রাজস্থান পুলিশের দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি)।
আরও পড়ুন-”মুর্শিদাবাদের অশান্তি পরিকল্পিত, সব সত্য তথ্য দেশের সামনে আসবে” বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
রাজস্থান পুলিশের এসিবি ডিজি রবি প্রকাশ মেহরদা জানিয়েছেন, পূর্ব রাজস্থানের রবিন্দর সিং নামে এক খনির মালিকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন ওই বিধায়ক। তাঁর খনি সম্পর্কিত প্রশ্ন ওঠার পর বিধায়ক রবিন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই তিনটি প্রশ্ন প্রত্যাহার করতে তিনি আড়াই কোটি টাকা দাবি করেন। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি বিধায়ককে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ছিলেন। বাকি টাকা কিস্তিতে দেওয়ার কথা হয়। পুরো টাকা পেলেই বিধানসভা থেকে তিনটি প্রশ্ন তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন বিধায়ক। বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত চলছিল। রবিবার সকালে জয়পুরের জ্যোতিনগরে পৌঁছে অভিযোগকারীকে ফোন করে এমএলএ কোয়ার্টারে আসার কথা জানান জয়কৃষ্ণ। এসিবির আধিকারিকরা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই এমএলএ হোস্টেলে ২০ লক্ষ নেওয়ার সময়ে হাতেনাতে ধরে বিধায়ককে।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশের কানপুরে পাঁচ তলা আবাসনে অগ্নিকাণ্ড, মৃত ৩ শিশু-সহ দম্পতি
প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের পরেই উপনির্বাচনে রাজস্থানের বাঁশওয়ারা জেলার বাগিদোরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩৮ বছরের জয়কৃষ্ণ। ১১ মাস আগে জয়কৃষ্ণ প্যাটেল বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছেন। কংগ্রেসের সমর্থনে বাগিদোরা উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেখানকার বিধায়ক মহেন্দ্রজিৎ সিং মালব্য কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের পর এই উপনির্বাচন হয়।