শিক্ষকতার চাকরিতে বঞ্চনা বিজেপির বিহারে, চাকরিপ্রার্থীদের নীতীশের বাড়ির সামনেই ফেলে পেটাল পুলিশ

কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীও তাঁদের কথা কানে তোলেননি। ফলে আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হন বিহারের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।

Must read

প্রতিবেদন: লজ্জা! শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীদের পাটনায় রাস্তায় ফেলে পেটাল বিজেপি-নীতীশের পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকারি বাসভবনের সামনেই মঙ্গলবার দুপুরে চলল পুলিশের এই তাণ্ডব। জখম হলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী এবং সাধারণ পথচারী। যে বিজেপি বাংলায় চাকরিজীবীদের চাকরি খাওয়ার জন্য বারবার আদালতে মামলা করে রাজ্যের কর্মসংস্থানের পথ আটকে দেয়, সেই বিজেপি এবং তাদের বন্ধু নীতীশ কুমারের রাজ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের হতে হল চূড়ান্ত হেনস্তা। পুলিশের লাঠিচালনার তীব্র নিন্দা করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি জানিয়েছেন পূর্ণ সমর্থন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, তরুণ-তরুণীরা যখনই সুবিচার চান, তখনই নিষ্ঠুরভাবে কণ্ঠরোধ করা হয় তাঁদের। এটাই কেন্দ্র ও রাজ্যে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে এনডিএ সরকারের। কয়েকমাস পরেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল বিজেপি-নীতীশকে।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সাপ্লিমেন্টারি ফল প্রকাশের দাবিতে মঙ্গলবার নীতীশের বাসভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। আচমকাই বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

আরও পড়ুন-নারী-ক্ষমতায়ণে মডেল বাংলাই

একটু গভীরে ঢুকলেই স্পষ্ট হবে বিষয়টা। ২০২৪ সালে বিহার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ৮৭ হাজার ৭৭৪ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও নিয়োগ পরীক্ষা হয়। কিন্তু নিয়োগের সময় ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগপত্র পান। যে পদগুলোতে নিয়োগ বাকি রয়ে যায়, তার কোনও ফলও প্রকাশ করেনি নীতীশ সরকার। বিহার শিক্ষক নিয়োগ পর্ষদ সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি। কৃতি দত্ত নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, ৪ মাস ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীও তাঁদের কথা কানে তোলেননি। ফলে আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হন বিহারের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।

Latest article