৮১ চা-শ্রমিককে চা-সুন্দরীর ঘর

চা-শ্রমিকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিক উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প এনেছেন তিনি। শ্রমিকদের পাকাবাড়ি দিতে চা-সুন্দরী প্রকল্প হয়েছে

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : চা-শ্রমিকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিক উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প এনেছেন তিনি। শ্রমিকদের পাকাবাড়ি দিতে চা-সুন্দরী প্রকল্প হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চা-সুন্দরীর বাড়ি। রবিবার চা-শ্রমিকদের উপস্থিতিতে আয়োজন করা হয় ঘর বণ্টনের অনুষ্ঠান। আদিবাসী নৃত্য ও গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান করে ৮১ জন চা-শ্রমিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তৈরি নতুন এই বাড়িগুলি। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বাড়ি পেয়ে খুশি রত্না মুন্ডা, আমিত নাগাসিয়া, নিসিয়া ওঁরাও, ফুলন্তি এক্কা, আক্লা নাগাসিয়া, রায়বাহাদুর রাই-সহ প্রত্যেকেই।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে চলন্ত গাড়িতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, মৃত বান্ধবী

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সীমা চৌধুরী, ধূপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা-সহ বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, ‘৮১ জন চা-শ্রমিকের হাতে তুলে দেওয়া হল বাড়ি। সুপরিকল্পিতভাবে চা-শ্রমিকদের জন্য বাড়িগুলি তৈরি হয়েছে। রয়েছে দুটি করে ঘর, একটি কিচেন রুম ও বাথরুম। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় রেড ব্যাঙ্ক চা-বাগানের এই জায়গায় মোট ৫৫২টি চা-সুন্দরী প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করা হয়। শুধু বাড়িই নয় এই আবাসন-চত্বরেই তৈরি করা হয়েছে চা-বাগান শ্রমিকদের শিশুদের জন্য পার্ক ও বসার জায়গা। জল নিকাশি ব্যবস্থার জন্যও করা হয়েছে হাইড্রেন ও ছোট ছোট ড্রেন। আগামী দিনে আদিবাসীদের বিভিন্ন কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে এই জায়গায়।

Latest article