একশো দিনের কাজের টাকা চুরি, জেলে মোদিরাজ্যের মন্ত্রীর ছেলে

একশো দিনের কাজে বাংলা এক নম্বর। তারপরও কুৎসা আর অপপ্রচার চালিয়ে বাংলার বরাদ্দ ও শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।

Must read

প্রতিবেদন : একশো দিনের কাজে বাংলা এক নম্বর। তারপরও কুৎসা আর অপপ্রচার চালিয়ে বাংলার বরাদ্দ ও শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ্যেই বিজেপির দুর্নীতির ভাণ্ড ফেঁসে গিয়েছে। এবার কি তাহলে একশো দিনের কাজে মোদির গুজরাতেও টাকা বন্ধ করবে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রশ্ন তুলে দিল তৃণমূল।
বিজেপিকে একহাত নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, দুর্নীতি আর চুরি বিজেপির রক্তে মিশে আছে। গুজরাতের পঞ্চায়েতমন্ত্রী বাচ্চু খাবাদের ছেলের বিরুদ্ধে ৭১ কোটি টাকার মনরেগা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, আর্থিক কেলেঙ্কারির অঙ্কটা ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। এ-প্রসঙ্গেই তৃণমূলের প্রশ্ন, তবে কি এবার গুজরাতের বরাদ্দ টাকাও কেটে দেবে কেন্দ্র, যেমনটা তারা বাংলার ক্ষেত্রে করেছিল ‘তথাকথিত দুর্নীতি’র অজুহাতে? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কি গুজরাতে পাঠানো হবে এই কেলেঙ্কারির গভীরতা তদন্ত করতে? নাকি শুধুমাত্র ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য বলে সব ধামাচাপা পড়ে যাবে? তার উত্তর দিন।

আরও পড়ুন-বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন অনুব্রতকে

সম্প্রতি গ্রামোন্নয়নে ব্যাপক দুর্নীতি ধরা পড়েছে মোদি-শাহর রাজ্য গুজরাতে। দীর্ঘ চার বছর ধরে একশো দিনের কাজে ভুয়ো প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে সেখানে। সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দাহোদ জেলার ধনপুর ও দেবগড় তালুকে এই বেআইনি কাজকর্ম চলছিল। শেষপর্যন্ত প্রবল বিরোধী চাপের মুখে ৭১ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের কৃষি ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী বাচ্চু খাবাদের ছেলে বলবন্ত খাবাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মন্ত্রীর ছোট ছেলে কিরণ খাবাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন এক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকেও। এই ঘটনায় মুখে কুলুপ মোদি-রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। বিরোধীদের দাবি, এই দুর্নীতির পরিমাণ আড়াইশো কোটি টাকা। কয়েকদিন আগে যোগীরাজ্যেও ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার দুর্নীতির অভিযোগে মোদিরাজ্যে। সম্প্রতি অডিটে ধরা পড়ে বিরাট জালিয়াতি। মন্ত্রীর দুই পুত্রের সংস্থা-সহ ৩৫টি সংস্থার বিরুদ্ধে অনিয়ম ধরা পড়ে। আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য বরাদ্দ অর্থ জাল শংসাপত্র ও রসিদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় এই কেলেঙ্কারিতে। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রামে ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো প্রকল্প দেখিয়ে নকল রিপোর্ট, টাকা বণ্টনের ভুয়ো প্রমাণ জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করা হয়। আত্মসাৎ করে খোদ বিজেপি-মন্ত্রীর ছেলে।

Latest article