ব্রুকলিন ব্রিজে ধাক্কা মেক্সিকান জাহাজের

Must read

প্রতিবেদন: নিউইয়র্কের ব্রুকলিন সেতুতে (Brooklyn Bridge) ধাক্কা মেক্সিকোর নৌবাহিনীর আলোকমালায় সজ্জিত জাহাজের। প্রাণ হারালেন জাহাজের দু’জন। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। ২৭৭ জন নাবিককে নিয়ে নদী দিয়ে নিউইয়র্কের দিকে ভেসে চলেছিল জাহাজটি। নদীর ধারে তখন অজস্র কৌতূহলী মুখের ভিড়। শনিবার রাতা সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঠিক যেন হলিউড সিনেমা। সেতুর উচ্চতা অনেক কম জেনেও সোজা চালিয়ে দেওয়া হল জাহাজ। তাতেই একের পর এক ১৪৭ ফুট উচ্চতার তিনটি মাস্তুল ভেঙে গেল একেবারে দেশলাই কাঠির মতো। ভাঙা মাস্তুলের উপর থেকে ঝুলে রইলেন কিছু নাবিক। তবুও জাহাজ এগিয়ে চলল। গোটা নিউইয়র্ক শহর এই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠল।
এভাবেই নিউইয়র্কের ব্রুকলিন সেতুতে (Brooklyn Bridge) ধাক্কা খেয়ে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত মেক্সিকোর নৌসেনার জাহাজ। গ্লোবাল গুডউইলের বার্তা নিয়ে সাদা রঙের কহতেমক জাহাজটি মেক্সিকো থেকে পৌঁছেছিল নিউইয়র্ক। ব্রুকলিন সেতুর আশপাশে সন্ধ্যার আনন্দ উপভোগ করা পর্যটকরা জাহাজের সৌন্দর্যের ছবি তুলছিলেন। আচমকাই সেটি সেতুতে ধাক্কা খেতে শুরু করে। একের পর এক মাস্তুল ভেঙে এগিয়ে যায়। পর্যটকদের মোবাইলের ভিডিওতে গোটা দুর্ঘটনা ধরা পড়েছে।
আহত যাত্রীদের ডিঙি নৌকায় করে জাহাজ থেকে বের করে এনে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। তার মধ্যে দু’জনের অবস্থা ছিল অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। পরে মৃত্যু হয় তাঁদের। ঘটনার জেরে ব্রুকলিন সেতুর উপর যান চলাচল দীর্ঘক্ষণ আটকে যায়। তবে সেতুর বড় কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানায় নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।
তবে নিচু সেতুর তলা দিয়ে কেন জাহাজটি অত দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী প্রথম মাস্তুল ভাঙার পরেও কেন জাহাজ থামিয়ে দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্তকারীদের দাবি, আগে জাহাজ থামিয়ে দিলে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত।

আরও পড়ুন-সিন্ধে নিহত শীর্ষ লস্কর জঙ্গি

Latest article