সংবাদদাতা, কোচবিহার : সীমান্তরক্ষীদের ওপর আর ভরসা নেই। জিরো খতিয়ান জমিতে আর চাষ করতে যাবেন না। বাংলাদেশে বন্দিদশা কাটিয়ে ফিরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শীতলকুচির উকিল বর্মন। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। উকিল বর্মনের ছেলের চাকরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সোমবারই কোচবিহারের এম জে এন হাসাপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে যোগ দিলেন পরিতোষ বর্মন। সংসার চালানো নিয়ে নিশ্চিন্ত হল পরিবারটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে গোটা পরিবার।
আরও পড়ুন-উত্তরায়নের বিপরীতে ১০ একর জমিতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল কাঁটাতারের ওপারে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন পশ্চিম শীতলকুচির গ্রামের উকিল বর্মন। উকিল বর্মনকে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশের হাতিবান্ধার দিকে। এরপর উল্টে উকিল বর্মনের বিরুদ্ধেই আইনানুগ পদক্ষেপ নিয়েছিল বাংলাদেশ প্রশাসন। বুধবার রাতে উকিল বর্মন বাড়ি ফিরেছেন। তবে কাঁটাতারের ওপারে থাকা চার বিঘা জমিতে কৃষিকাজ করতে যেতে আর রাজি নন উকিল বর্মনের পরিবার। সংসার চলার একমাত্র উপায় এই কৃষি কাজ। পরিবারের সম্পত্তি বলতে কেবল কাঁটাতারের ওপারের চার বিঘা কৃষি জমি। কিন্তু এই আতঙ্কের পরিবেশে কী করে ওপারে কৃষি কাজ করতে যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। জমিতে বোরো ধান চাষ করলেও সেই ধান কাটতে যেতেও রাজি হচ্ছে না পরিবার। এই পরিস্থিতিতে কী করে দিন গুজরান হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।