প্রতিবেদন: বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই পাক গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত জ্যোতিরানি মালহোত্রার (jyotirani malhotra)। তদন্তকারী অফিসারদের জেরায় একবারে মুখে কুলুপ এঁটেছে এই ইউটিউবার। শুধু একটা কথাই বলছে বারবার, বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে সে। তার দাবি, সে যা করেছে তা তার স্বাধীনতার মধ্যেই পড়ে। পহেলগাঁও হামলার পরে সে ইউটিউবে দাবি করেছিল, এই কাজের জন্য কোনও পাকিস্তানি দায়ী নয়। গোয়েন্দারা বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছেন, জ্যোতিকে পাকিস্তানের সুরে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য চাপ দিয়েছিল ওপারের ছদ্মবেশী এজেন্টরাই। তারাই চরবৃত্তির কাজ দিয়েছিল তাকে।
আরও পড়ুন-প্রতিনিধি দলে থাকুন জওয়ানরা, রাখা হোক শহিদ-মৃতদের পরিবারও
গুপ্তচর জ্যোতির (jyotirani malhotra) আরও কীর্তি ফাঁস হয়ে গেছে গোয়েন্দাদের জেরায়। সে কবে, কতবার পাকিস্তান গিয়েছিল, চিন গিয়েছিল, সব তথ্যই বিস্তারিতভাবে এসে গেছে গোয়েন্দাদের হাতে। শুধু পাকিস্তান-চিন নয়, থাইল্যান্ড ও বালিতেও গিয়েছিল জ্যোতি। কেন গিয়েছিল তা নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসছে তদন্তে।
জ্যোতিকে জেরা করে জানা গেছে, পাক গুপ্তচরবৃত্তিতে জ্যোতিরানির অন্যতম সহযোগী হিসাবে কাজ করেছে পানিপথের নোমান ইলাহী। দু’জনেই হরিয়ানায় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে হাতে হাত মিলিয়ে চালিয়ে গেছে গুপ্তচরবৃত্তি। নৌমানকে জেরায় গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ উঠে এসেছে। পাকিস্তান হ্যান্ডলার ইকবালের সঙ্গে নৌমান ফোনে তথ্য আদানপ্রদান নিয়ে যে কথা বলেছে তার ভয়েস চ্যাট রেকর্ডের হদিশ গোয়েন্দারা পেয়েছেন বলে খবর। ভয়েস চ্যাটে পাকিস্তানের হ্যান্ডলার ইকবালের টার্গেট যে কাশ্মীরের সেনাঘাঁটি, তাও একেবারে স্পষ্ট। নৌমান ও ইকবালের ভয়েস চ্যাটে তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। যে ভয়েস চ্যাটে পাক হ্যান্ডলার ইকবাল কাশ্মীর সেনাঘাঁটির ছবি পাঠাতে নৌমানকে নির্দেশ দিচ্ছে, তাতে নৌমান রীতিমতো অনুরোধের সুরে বলছে, তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও, আমার কাজের জন্য তুমি বসে আছ, আমাকে দুটো দিন সময় দাও। পাল্টা ইকবালের হুমকি, তুই আমার কাজ করবি, কতদিনের মধ্যে করবি? সেনাঘাঁটির দুটি ছবি আমায় দ্রুত পাঠিয়ে দে। আমার দুটো দিন সময় লাগবে বলে ফোন রেখে দেয় নৌমান।
লক্ষণীয়, অপারেশন সিঁদুরের পর দিল্লির লাগোয়া হরিয়ানা থেকে পাক গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সংখ্যা এখনও পর্যন্ত নয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মীর সোপিয়ানে জঙ্গিদের সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনা। অন্যদিকে অন্ধর্ ও তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের নাশকতার চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করেছেন দু’জনকে। অনলাইনে তারা বিস্ফোরক কিনেছিল বলে জানা গিয়েছে।