এবার তবে কাকে দায়ী করা হবে?

সেদিন আপামর ভারতীয় মুসলমানদের দায়ী করা হয়েছিল পহেলগাঁওতে হামলার পর। এবার কি তবে টার্গেট হবে হরিয়ানা আর ওড়িশার হিন্দুরা? জিজ্ঞেস করছেন আকসা আসিফ

Must read

পহেলগাঁওতে হামলা। তারপরই মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য আক্রমণ। ট্রেনে, বাসে, আলাপ আলোচনায়, সমাজমাধ্যমে, এমনকী মিডিয়ার একাংশেও।
ভাষ্যটা হওয়া উচিত ছিল, পাক হামলায় ভারতীয়রা নিহত।
প্রচারিত ভাষ্য হয়েছিল, মুসলমানদের হামলায় হিন্দুরা নিহত।
বাঙালি মাত্রই বাংলাদেশি, এবং শত্রু রাষ্ট্রের ব্যক্তি বলে ঘৃণ্য, এই পরম বিশ্বাসে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নানা জায়গায় বাঙালিরা আক্রান্ত হলেন।
দেশপ্রেম আর সংখ্যালঘু বিদ্বেষ কে একই পংক্তিতে ফেলে সেদিন নোংরা খেলায় অক্সিজেন জুগিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বাংলার গদ্দার কুলের পোদ্দার তাতে প্রকাশ্যে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন।
আর আজ?

আরও পড়ুন-ছায়া গায়েব করার প্রাকৃতিক জাদু

পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে লাস্যময়ী ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিরানি মালহোত্রা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পহেলগাঁও হামলার পর যে ব্যক্তি দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে কেক নিয়ে গিয়েছিল, সেই ব্যক্তির সঙ্গেও একই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে জ্যোতিরানিকে! দাবি করা হচ্ছে, জ্যোতিরানি মালহোত্রা যখন পাকিস্তানে গিয়েছিলেন, তখন একটি পার্টিতে ‘দিল্লির কেক বহনকারী’ ব্যক্তিকে জ্যোতির পাশে দেখা যায়। এরপরেই জ্যোতির সঙ্গে পাকযোগ আরও নিবিড় ভাবে ফুটে উঠছে।
আসলে, পহেলগাঁও হামলার পরের দিন দিল্লিতে পাক দূতাবাসে একটি কেক নিয়ে হাজির হন এক ব্যক্তি। অভিযোগ ওঠে, পহেলগাঁও হামলার উদযাপনেই এই কাণ্ড করা হয়েছিল। সরাসরি সাংবাদিকদের সামনে ওই ব্যক্তি পড়ে যাওয়ায়, কেক আনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। আবার পাকিস্তানের মাটিতে একই পার্টিতে সেই ব্যক্তি ও জ্যোতিরানির উপস্থিতি তথ্যপাচারের অভিযোগকেই আরও জোরালো করছে।
কুভেন্ডু গদাইলস্করিকে প্রশ্ন, এবার তাহলে হরিয়ানাবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ শুরু হোক। বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু নারীর পাক চরবৃত্তির কাজেও ধর্মীয় পরিচয় প্রাধান্য পাক। বলা হোক, হিন্দুর চক্রান্তে হিন্দু মরেছে।
লজ্জা করে না এসব কুলাঙ্গারদের!

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনা, কোচবিহারে মেলেনি ডবল ইঞ্জিন বিমান : মুখ্যমন্ত্রী

এবার কি পাক জঙ্গিদের লক্ষ্য পুরীর জগন্নাথ মন্দির? নিশানায় কলকাতাও রয়েছে? পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে লাস্যময়ী ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিরানি মালহোত্রা গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রশ্ন হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কারণ, গত সেপ্টেম্বরেই পুরী জগন্নাথধামে গিয়েছিল জ্যোতি। আর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় এসেছিল সে। পুরীর মন্দির এবং গোটা চত্বরের ভিডিও করার পাশাপাশি এক ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটারে’র সঙ্গেও সে যোগাযোগ করে। কে সেই সন্দেহভাজন? ওড়িশারই আর এক মহিলা ইউটিউবার। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই মহিলা ইউটিউবারও সম্প্রতি পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবে গিয়েছিল।
প্রশ্ন একটাই— কানেকশনটা কী? শুধুই কি পুরী? নাকি অন্য তীর্থক্ষেত্রগুলিকেও টার্গেট করছে পাকিস্তান? কারণ, ধৃত জ্যোতি কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকটি এমন তীর্থস্থানে সম্প্রতি গিয়েছে। ভিডিও করেছে। সেই সব জায়গাতেও স্থানীয় কোনও যোগাযোগ তার নেই তো? যাদের সঙ্গেও পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে? সেই প্রসঙ্গেই আতসকাচের নীচে তার বঙ্গ সফরও। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে জ্যোতি। এক ইউটিউবারের বিয়ে উপলক্ষ্যে তার এই সফর। স্থানীয় অপর এক ভ্লগারের সঙ্গে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে প্রথমে বারাকপুর ও পরে গঙ্গা পেরিয়ে শেওড়াফুলি যায় তারা। কিন্তু যেভাবে ওই ভিডিওতে শিয়ালদহ স্টেশনের খুঁটিনাটি তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের। এই পর্বে সে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বা জেটিঘাট সংক্রান্ত কোনও তথ্য সংগ্রহ করছিল কি না, তাও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
প্রশ্ন একটাই—কানেকশনটা কী? শুধুই কি পুরী? নাকি অন্য তীর্থক্ষেত্রগুলিকেও টার্গেট করছে পাকিস্তান? কারণ, ধৃত জ্যোতি কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকটি এমন তীর্থস্থানে সম্প্রতি গিয়েছে। ভিডিও করেছে। সেই সব জায়গাতেও স্থানীয় কোনও যোগাযোগ তার নেই তো? যাদের সঙ্গেও পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে? সেই প্রসঙ্গেই আতশকাচের নিচে তার বঙ্গ সফরও। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে জ্যোতি। এক ইউটিউবারের বিয়ে উপলক্ষ্যে তার এই সফর। স্থানীয় অপর এক ভ্লগারের সঙ্গে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে প্রথমে বারাকপুর ও পরে গঙ্গা পেরিয়ে শেওড়াফুলি যায় তারা। কিন্তু যেভাবে ওই ভিডিওতে শিয়ালদহ স্টেশনের খুঁটিনাটি তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের। এই পর্বে সে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বা জেটিঘাট সংক্রান্ত কোনও তথ্য সংগ্রহ করছিল কি না, তাও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
আর আমাদের জানতে ইচ্ছে করছে, কুভেন্দু গদ্দারির কাছে, এবার কি তবে ওরিশাকেও বিষ নজরে দেখা হবে? সেখানেও তো ডবল ইঞ্জিন সরকার।

আরও পড়ুন-জল্পেশ মন্দিরের স্কাইওয়াকের ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

ট্রাভেল ভ্লগিংয়ের আড়ালে ভারতের গোপন, সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে নিয়মিত পাচার করার অভিযোগ রয়েছে জ্যোতির বিরুদ্ধে। আর তাকে কাজে লাগিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের এক প্রাক্তন কর্মী। গত বছর থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারতের যে যে জায়গায় জ্যোতি গিয়েছে, সেই সব জায়গাই এখন তদন্তকারী আধিকারিকদের স্ক্যানারে। আর অনুসন্ধান করতে গিয়েই উঠে এসেছে পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের নাম। জ্যোতির পুরী ভ্রমণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ওড়িশা পুলিস। পুরীর মন্দিরে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন। এমন জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারলে পহেলগাঁওয়ের থেকে কয়েকগুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভ্লগিংয়ের নামে জগন্নাথধাম নিয়েও কোনও সংবেদনশীল তথ্য জ্যোতি পাকিস্তানে পাচার করেছে কি না, নিশ্চিত হতে চাইছে তদন্তকারীরা।
আসুন তবে ওড়িয়া নাগরিকদের টার্গেট করা যাক। না কি বলেন কুভেন্দু গদ্দারি !
উত্তর আছে আপনাদের কাছে? নির্লজ্জ বেহায়ার দলের কাছে?
আমরা ভারতবাসী একযোগে পাক সন্ত্রাসের মোকাবিলা করেছি।
আর দয়া করে সাম্প্রদায়িকতা, প্রাদেশিকতার নোংরামি ছড়াবেন না, প্লিজ।

Latest article