অন্ধ্রে দলিত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে মারধর

২২ বছর বয়সি ওই তরুণ নেলোর জেলার রেড্ডিপালেম গ্রামের বাসিন্দা ও শ্রী বিদ্যা নিকেতন কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

Must read

অন্ধ্রপ্রদেশের (AndhraPradesh) তিরুপতি জেলায় এক দলিত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে মারধর করার অভিযোগ উঠল কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে এবং দলিতদের কোনও নিরাপত্তা নেই সেটার আর আলাদা উদাহরণের প্রয়োজন হয় না এরপর। ওই ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে অভিযুক্তরা তাঁর পরিচিত। নিগৃহীত এই ছাত্রের নাম এ জেমস। ২২ বছর বয়সি ওই তরুণ নেলোর জেলার রেড্ডিপালেম গ্রামের বাসিন্দা ও শ্রী বিদ্যা নিকেতন কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

আরও পড়ুন-পাখির চোখ ২৬-এর বিধানসভা, তমলুক সাংগঠনিক জেলা INTTUC কোর কমিটি ঘোষণা

সূত্রের খবর, গত ১১ মে জেমস এবং তাঁর বন্ধু গুরু সাই রেড্ডিকে তাঁদের হস্টেলের বাইরে থেকে অপহরণ করা হয়। তার পর তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়। প্রস্রাব পান করতেও বাধ্য করা হয়। কোনমতে পালিয়ে এসে যশবন্ত, কিরণ, জগ্গা, ললিত, সাই গৌড়া, বংশী, রূপেশ এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান জেমস। তবে সেখানেও স্বস্তি তিনি পাননি। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জেমসকেই সতর্ক থাকতে বলেন।

উপায় না দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের বক্তব্য একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে পোস্ট করেছেন জেমস। তিনি জানান দলিত হওয়ার ফলেই নিশানা করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, ”ওরা আমাকে অসম্ভব মারধর করে, চেহারাতেই স্পষ্ট। আমাকে তিন-চার দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল, প্রচন্ড শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। থানায় গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ওরা বলছিল, তফসিলি জাতিভুক্ত হয়ে তোর এত কথা বলার সাহস কী ভাবে হল?’’ ভিডিয়োটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতেই তৎপর হয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেমসকে শ্রীনিবাসপুরমের এলিট পার্ক হোটেলের ২০৯ নম্বর ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে রড এবং বেল্ট দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Latest article