দলেরই মহিলা কর্মীকে গণ.ধর্ষণের পর মুখে প্রস্রাব বিজেপি বিধায়কের

কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্ন এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এবার গণধর্ষণের অভিযোগ আনলেন ৪০ বছরের দলেরই এক মহিলা কর্মী

Must read

ন্যক্কারজনক ঘটনা! কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্ন এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এবার গণধর্ষণের অভিযোগ আনলেন ৪০ বছরের দলেরই এক মহিলা কর্মী৷ শুধু গণধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। নির্যাতনের পর তাঁর মুখে প্রস্রাব করেন। শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে মারণ ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও নির্যাতিতা জানিয়েছেন৷ কর্ণাটক পুলিশ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের কথা জানিয়েছে ৷ সিনেমার প্রোডিউসার হিসেবে স্বনামধন্য মুনিরত্ন কর্ণাটকের রাজারহেশ্বরী কেন্দ্র থেকে চার বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন৷ তিনি এখনও ওই কেন্দ্রের বিধায়ক৷ অভিযোগকারিণী মহিলা বিজেপির একজন দলীয় কর্মী৷

আরও পড়ুন-বিশ্বমঞ্চে পাক-সন্ত্রাসের মুখোশ খুলতে রওনা অভিষেকের

মঙ্গলবার আরএমসি ইয়ার্ড থানায় দলের বিধায়ক মুনিরত্নের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন৷ নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, গত বছর ১১ জুন বিধায়কের সঙ্গীরা কাজের কথা বলে একটি গাড়িতে করে তাঁকে বিধায়কের মাথিকেরের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন। অফিসে পৌঁছনোর পরই বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর দুই সঙ্গী মিলে তাঁকে নগ্ন করে ধর্ষণ করেন। বাধা দিলে তাঁর ছেলের প্রাণহানির হুমকিও দেওয়া হয়৷
নির্যাতিতা নিজের লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিধায়কের দুই সঙ্গী তাঁকে গণধর্ষণ করার পর মুনিরত্ন তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেন৷ এখানেই শেষ নয়, আরও এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে বিধায়কের হাতে একটি সাদা বাক্স দেন৷ বাক্স থেকে একটি সিরিঞ্জ বের করে তাঁর শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন বিজেপি বিধায়ক৷ ইতিমধ্যেই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে যশবন্তপুরের আরএমসি ইয়ার্ড থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), ২৭০ (প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন মারাত্মক কাজ), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৫৪ (একজন মহিলার শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বল প্রয়োগ), ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৫০৯ (একজন মহিলার শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে অঙ্গভঙ্গি বা কাজ) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-হাতিয়ার ভুল তথ্য ও মিথ্যে প্রচার, ফের বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত বিজেপির

কিন্তু প্রশ্ন হল এরকম গুরুতর অভিযোগ হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আরআর নগরের বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, কর্ণাটক পুলিশ ৪০ বছর বয়সী আরেক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। তিনি ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বারবার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, বিবিএমপি’র একজন কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মুনিরত্নকে অল্প সময়ের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যেই দলের কন্যাসন্তানের শিক্ষা ও সুরক্ষার প্রকল্প ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, সেই দলের নেতারাই দিনের পর দিন নারী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত হচ্ছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে উঠছে ঘৃণ্য অভিযোগ।

Latest article