প্রতিবেদন : আপাতত স্থগিত বাস ধর্মঘট! বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের ধর্মঘটের অবস্থান থেকে অবশেষে পিছু হটল বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও পরিবহণ সচিবের সঙ্গে বৈঠকেই কাটল জট। বৈঠকের পর বাস মালিকদের সংগঠন সাফ জানিয়ে দিল, প্রশাসনের তরফে দাবিপূরণের আশ্বাস মিলেছে। তাই বৃহস্পতিবার থেকে কোনও ধর্মঘট হচ্ছে না। তবে দাবি পূরণ না হলে আগামী সেপ্টেম্বরে ফের ধর্মঘটের পথে হাঁটতে পারে বলে বক্তব্য বাস সিন্ডিকেটের। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ধর্মঘটের মাধ্যমে এখন আর কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। আজকের দিনে বনধ, ধর্মঘট, চাক্কা জ্যাম কোনও আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে সম্পূর্ণ অচল। বাস চালকদেরও সরকারের নিয়ম মানতে হবে। নাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবেই। তিনমাস পর আমরা আবার বৈঠকে বসব। এছাড়াও প্রতিমাসে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বাস মালিকদের বৈঠকের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-২৬ মে থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ সাফাই অভিযান, ডেঙ্গি রুখতে বিশেষ পোর্টাল চালু করল পঞ্চায়েত দফতর
অবিলম্বে ভাড়া বৃদ্ধি-সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। প্রশাসনের তরফে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হলেও প্রথমে রাজি হয়নি বাস সিন্ডিকেট। তবে বুধবার সকালে শেষপর্যন্ত যাবতীয় দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হয় বাস মালিকদের সংগঠন। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ লালবাজারে বাস সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন, ডিসি ট্রাফিক-সহ অন্য আধিকারিকরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর আপাতত স্থগিত রাখা হয় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও ধর্মঘট হবে না বলে জানিয়েছে বাসমালিক সংগঠন। বৈঠক নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাস সংগঠনগুলির যেসব দাবি ছিল, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। এদিন সিপি ও পরিবহণ সচিবের সঙ্গে বৈঠকেও আমরা বাস সংগঠনগুলিকে বলেছি, সরকার তাঁদের পাশে সবসময় আছে। আমরা যেমন যাত্রী সাধারণের কথা ভাবি, তেমনই বাস চালক-মালিকদের সমস্যা নিয়েও বিবেচনা করি। তাই বাস-মালিক সংগঠনের কাছে পরিবহণমন্ত্রীর আবেদন, বাস চালকদের কাউন্সিলিং করানো হোক। যাতে তাঁরা সমস্ত ট্রাফিক আইন মেনে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে গাড়ি চালায়। পথদুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো নিশ্চিত করতে হবে।