ভারত সীমান্তে পাক সন্ত্রাস ও অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিশ্বকে জানাতে টোকিও (Tokyo) যাওয়া ভারতীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিলেন জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যান তাকাশি এন্ডো। বুধবারই টোকিও পৌঁছয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৯ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জের সঙ্গে। বৈঠক করেন জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও।
আরও পড়ুন-পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বোমাতঙ্ক, তদন্ত শুরু
পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বের দরবারে ভারতের সাংসদের প্রতিনিধিদল। প্রথমেই জাপান গিয়েছেন তাঁরা। এরপর আরও চারটি দেশে পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিন্দুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন সাংসদরা। জাপানের জাপানে পা রেখেই এদিন টোকিওতে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করে অভিষেক-সহ অন্যান্য সাংসদরা। দলে অভিষেক ছাড়াও রয়েছেন সাংসদ ব্রিজলাল, অপরাজিতা সারেঙ্গি, প্রধান বরুয়া, হেমাঙ্গ যোশী, সঞ্জয়কুমার ঝা, জন ব্রিটাস। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের আপোষহীন অবস্থান তুলে ধরার জন্য জাপানের বিশিষ্টদের সঙ্গ দেখা করেন অভিষেকরা। সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যান তাকাশি এন্ডোর সঙ্গে কথা হয়। সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের ধরণের দৃঢ় অঙ্গীকারের উপর দ্ব্যর্থহীনভাবে জোর দেওয়া হয়। যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থন জানান তাকাশি এন্ডো।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে বিবাহিত প্রেমিকার বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু যুবকের
ভারত চায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে। সেজন্যই একাধিক প্রতিনিধি দলে ভাগ হয়ে ৩২টি দেশে সফর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাপান দিয়ে এই সফর শুরু করছে ভারতীয় প্রতিনিধিদের একটি দল। এদিন টোকিওর ভারতীয় দূতাবাসে বিশেষ বৈঠকে বসেন অভিষেকরা। বিদেশে মন্ত্রক ভারতের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের হাতে দুটি ‘ডসিয়ার’ তুলে দিয়েছিল। সেখানে ‘টকিং পয়েন্টস’ ও বিস্তারিত সফরসূচি দেওয়া ছিল। সেই মতোই টোকিও দূতাবাসে আলোচনা শুরু হয় জাপানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত চাই, তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয় সেই বৈঠকে। এছাড়াও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তুলে ধরা হয়, পহেলগাম হামলার প্রত্যাঘাতে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিন্দুরে প্রতিবেশী দেশের কোনও সাধারণ মানুষকে টার্গেট করা হয়নি। বেছে বেছে জঙ্গিদের নিশানা করা হয়েছে। অথচ পাকিস্তান ভারতের সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করেছে। এরপর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর করবে এই দল। বিশ্বমঞ্চে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।