“ভারত মাথানত করবে না। ওরা যে ভাষায় বোঝে, সেই ভাষাতেই ওদের জবাব দিতে হবে। সন্ত্রাসবাদ যদি হিংস্র কুকুর হয়, তা হলে পাকিস্তান হল সেই কুকুরের পালনকারী। আমরা যদি এদের না আটকাই তা হলে এরা আগামী দিনে আরও কুকুর পুষবে”- টোকিওতে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ আর পহেলগাম হামলার কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে জাপানের টোকিওতে বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছেন অভিষেকরা। সেখানেই শুক্রবার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিষেক বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু যখন দেশের কথা আসে, তখন আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই, আমরা এক। অভিষেকের বক্তব্য মুগ্ধ টোকিওর প্রবাসীরা।
পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলা এবং তার পরবর্তী সময় পি ও কে এবং পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাটি গড়িয়ে দেওয়ার বিষয় অভিষেক বলেন, পহেলগাম সন্ত্রাসী পর ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল স্পষ্ট। আমরা ন্যায়বিচারের আশায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু যখন সেই আশায় বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল, তখন ভারত নির্ভুলভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।” তৃণমূল সাংসদ স্পষ্ট জানান, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটি ধুলিস্যাৎ করা হয়েছে। একজনও সাধারণ নাগরিকের কোনও ক্ষতি হয়নি। এটাই ভারতের জাতীয় চরিত্রকে প্রতিফলিত করে।
টোকিওই বসবাসকারী ভারতীয়দের কাছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদন, “আমি প্রবাসীদের কেবল পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার ট্র্যাজেডির জন্য শোক প্রকাশ করার জন্য নয় বরং তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ সচেতনতা ন্যায়বিচারের দিকে প্রথম পদক্ষেপ।”
আরও পড়ুন: ৬ মাস আগে বাহিনীতে যোগদান, সহকর্মীর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু সেনা অফিসারের
পাকিস্তান সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, কেউ তাঁদের প্রতিবেশীদের বেছে নেন না। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং প্রমাণের সমর্থনে সত্য কথা বলতে বেছে নিতে পারি। এটাই সেই ভারত, যার উপর আমি বিশ্বাস করি, এবং আমরা সেবা করি।”
এরপরে দৃপ্ত কণ্ঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, “ভারত কখনও মাথানত করবে না, আমরা এখানে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে এসেছি। আমরা মোটেও ভীত নই। আমি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা। পাকিস্তানকে যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। যদি সন্ত্রাস পাগলা কুকুর হয়, তবে পাকিস্তান তাকে লালন পালন করছে। বিশ্বে সকলকে একজোট হয়ে ওই লালন পালনকারীকে প্রতিরোধ করতে হবে। নইলে ওই লালন পালনকারী আরও পাগলা কুকুরের জন্ম দেবে। ভারত দায়বদ্ধ তাকে শিক্ষা দিতে।” কীভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল ভারত- সে বার্তা পাকিস্তানের কাছে পৌঁছে দিতে সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর আর্জি জানান অভিষেক। প্রবাসী ভারতীয়দের তিনি বলেন, আপনারা দেশের থেকে দূরে থেকেও সব বিষয় ভারতকে অন্তরে নিয়ে চলেছেন। এই সময় আপনাদের সমর্থনা প্রয়োজন। অভিষেকের বক্তব্যে মুগ্ধ টোকিও প্রবাসীরা।