রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সমস্ত উদ্যোগই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বিজেপির মিথ্যাচার

সম্প্রতি রেল স্টেশনগুলির এলাকাভিত্তিক সৌন্দর্যায়ন নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিষয়টা এইরকম, যেন বিজেপি আমলেই এসব শুরু হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : রেল এবং মেট্রো রেল নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। রেল স্টেশনগুলির এলাকাভিত্তিক সৌন্দর্যায়ন নিয়ে বিজেপির মিথ্যাচারের ক্যানেস্তারা পেটানো দেখে বাংলার মানুষ তো বটেই, দেশের বহু মানুষও হাসছেন।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের সতর্কতা সার্কুলার

সম্প্রতি রেল স্টেশনগুলির এলাকাভিত্তিক সৌন্দর্যায়ন নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিষয়টা এইরকম, যেন বিজেপি আমলেই এসব শুরু হয়েছে। বিজেপি ডাহা মিথ্যাচার করছে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। বাস্তব হচ্ছে এটাই যে, বিজেপি এখন যা যা করার কথা বলছে তা অনেক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনা করে গিয়েছেন। বহু কিছুর বাস্তবায়ন তিনি নিজের হাতে করে গিয়েছেন। ২০০৯ কিংবা ২০১০-১১-র রেল বাজেট অথবা তাঁর ভিশন ২০-২০-র দিকে তাকালেই সেটি স্পষ্ট হয়ে যাবে। দেশের স্টেশনগুলিকে সেই এলাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি কিংবা স্থানীয় বিখ্যাত কিছুর আদলে তৈরি করার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যার অন্যতম উদাহরণ হল দক্ষিণেশ্বর রেলের টিকিট কাউন্টার যা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি। পাশাপাশি মেট্রো স্টেশনগুলি মনীষীদের নামে চিহ্নিত করা, সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে হয়েছিল। আজ মেট্রো রেলের সম্প্রসারণও প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে। দিঘার ট্রেন কার চালু করা? উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঐতিহ্য তৈরি করে দিয়ে যান, সেই ঐতিহ্য এখন বহন করে চলেছে রেলমন্ত্রক। প্রশ্ন হচ্ছে, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন, সেগুলির বাস্তবায়নে এত দেরি হল কেন? তিনি শুরু করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই উদ্যোগ একান্তই বিজেপির বলে কেন ডাহা মিথ্যাচার করা হচ্ছে? আসল ঘটনা বাংলার মানুষ জানেন, দেশের মানুষও বোঝেন। তাঁরা এই মিথাচারের জবাব যথাসময়ে দেবেন।

Latest article