প্রতিবেদন: যে কোনও পরিস্থিতিতে দেশের বিপন্ন মানুষের পাশে প্রথম যে রাজনৈতিক দলকে দেখা যায় তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষত আর্ত মানুষের পাশে প্রথম ছুটে যান এই দলের প্রতিনিধিরাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। পহেলগাঁওতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলা থেকে পাকিস্তানের লাগাতার ড্রোন হামলার সময় যখন বিহার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী, তখন কাশ্মীর সীমান্তের অসংখ্য বিপন্ন মানুষের পাশে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদদেরই।
আরও পড়ুন-৮ বছর পর টেস্ট দলে করুণ, সুযোগ অভিমন্যুকেও, নেতা শুভমনই, বাদ শামি
কাশ্মীর সীমান্তের গ্রামগুলিতে লাগাতার মর্টার আর গুলির শিকার বাসিন্দাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি-জম্মুতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরে আশ্বস্ত বোধ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। এমনকী তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সফরের পরেই কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।
২১ মে থেকে ২৩ মে কাশ্মীরের পুঞ্চ, রাজৌরি ও জম্মুতে সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে যান তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি। এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এইসব এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতার ব্যবস্থা করেন। তাই তিনি জানতেন এই সব এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো কতটা প্রয়োজন। তাই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল ওইসব এলাকায় যাওয়ার পর তিনি নিজেও আশ্বস্ত বোধ করছেন। এদিকে শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের কাশ্মীরের আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনের পরই শনিবার সেখানে যান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই প্রেক্ষিতেই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানান, মন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁরাই প্রথম এসেছেন কাশ্মীরে। পাঁচ সদস্য সড়ক পথে পুঞ্চে যান। সেখান থেকে রাজৌরি, জম্মু। ওদের আসা ও মানুষের কথা শোনার বিষয়টি একটি বড় ঘটনা। আমাদের মনে হচ্ছে সত্যিই যেন কেউ আমাদের পাশে রয়েছেন। আমরা একা বা বিচ্ছিন্ন নই।