নয়াদিল্লি, ২৫ মে : আরসিবি ম্যাচ পণ্ড হওয়ার ঠিক ১৮ দিন পর কোটলায় নামল কেকেআর (KKR)। কিন্তু তাদের কপাল শেষ ম্যাচেও পাশে থাকেনি। রবিবাসরীয় রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানে হেরে ১২ পয়েন্টেই আইপিএল ২০২৫ শেষ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা নেমে গেল আটে। অতঃপর লোকে বলছে চ্যাম্পিয়নরা আবার পুরনো জায়গায়। সেটা কী? না, কেকেহার… কেকেহার!
একটা দল যখন নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামে, তখন ফোকাস ধরে রাখা মুশকিল হয়। কামিন্সরা পেরেছেন, কিন্তু রাহানেরা পারেননি। নাইটদের দেখে মনে হয়নি তারা ২৭৯ তাড়া করতে পারবে। ৭০ রানে অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার পর হার ছিল সময়ের অপেক্ষা। ডি’কক ৯, রাহানে ১৫, রিঙ্কু ৯, রাসেল ০, কেউ উনাদকট ও হর্ষ দুবেকে খেলতে পারেননি। নারিন ৩২ রান করেছেন। পরের দিকে হর্ষিত আর মণীশ লম্বা শট খেলেছেন। কিন্তু প্রায় তিনশো রান তাড়া করতে টপ অর্ডারে রান দরকার হয়। সেটা হয়নি। শেষপর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ১৬৮ রান তুলে ইনিংস শেষ করেছে কেকেআরের (KKR)।
সানরাইজার্স আগের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছিল। বোঝা গেল সেই মোমেন্টাম নিয়ে রবিবার কোটলাতে নেমেছিলেন কামিন্সরা। আগে ব্যাট করে বড় রান তুলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনায় সানরাইজার্স পুরোপুরি সফল হেনরিখ ক্লাসেনের জন্য। ৩৭ বলে ১০৫ রান করে নট আউট থেকে গেলেন তিনি। এরমধ্যে ন’টি ছক্কা রয়েছে। আইপিএলে এটা চতুর্থ দ্রুততম শতরান। ইউসুফ পাঠানেরও ৩৭ বলে সেঞ্চুরি রয়েছে। সবার আগে এখনও গেইল, ৩০ বলে সেঞ্চুরি।
ক্লাসেনকে স্পেশালিস্ট টি-২০ প্লেয়ার ধরা হয়। দুনিয়া জুড়ে এই ফরম্যাটে খেলে বেড়ান। এটা আইপিএলে তাঁর দ্বিতীয় শতরান। দলকে ২০ ওভারে ২৭৮/৩-এ পৌঁছে দিয়ে ক্লাসেন বলছিলেন, এবার আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আর আমি নিজে রান করার থেকেও বেশি খুশি হই দল ভাল করলে। কেকেআর বোলারদের এদিন তুলোধোনা করেছেন তিনি। নারিন
ও বরুণ দিয়েছেন যথাক্রমে ৪২ ও ৫৪ রান। তবে সবথেকে করুণ অবস্থা ছিল আনরিখ নরখিয়ার। তিনি ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬০ রান।
৬.৫ ওভারে ৯২ তুলে দিয়ে অভিষেক শর্মা (৩২) আর ট্রাভিস হেড (৭৬) কেকেআরকে বার্তা দিয়েছিলেন, বিপদ আসছে! সেটাই হল। তাও ঈশান কিশান ২৯ করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন বলে রক্ষা। না হলে সানরাইজার্স তিনশো তুলে দিত। টসে রাহানে বলছিলেন, তাঁরা এই ম্যাচ ফ্যানেদের জয় উপহার দিতে চান। হারানো সম্মান উদ্ধার করতে চান। আর এবারের শিক্ষা নিয়ে পরের বারের জন্য প্রস্তুত হতে চান। কিন্তু এই হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর ২০২৬-এ কে
কোথায় খেলবে সেটাই পরিষ্কার হচ্ছে না। নাইটদের দেখে প্রথম থেকে মনে হয়েছে, এই দলে গম্ভীরকেই দরকার। না হলে কেকেহারই!