নারকীয় এই গণধর্ষণের ঘটনা মনে করাল দিল্লির (Delhi) অভয়াকে। মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলায় আদিবাসী এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার পর যৌনাঙ্গে রড, লাঠি ঢুকিয়ে অত্যাচারের ঘটনা ঘটল। যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি নেতারা গর্ব করেন, সেই ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে নারী কিভাবে লালসার শিকার তার চূড়ান্ত নিদর্শন মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী মহিলার গণধর্ষণ ও মৃত্যুর এই ঘটনা।
আরও পড়ুন-আসামি ধরতে গিয়ে গাজিয়াবাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু কনস্টেবলের
মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার খালুয়া গ্রামের এক মহিলা শুক্রবার রাতে স্থানীয় একটি বিয়ে বাড়িতে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে আদিবাসী কুরকু সম্প্রদায়ের ওই মহিলা রাতের অন্ধকারে অন্য এক অতিথিকে এগিয়ে দিতে মাঠের দিকে যান। সারারাত তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের অন্যান্যরা ভাবেন তিনি ওই আত্মীয়ার বাড়িতে থেকে গিয়েছেন।
শনিবার সকালে বাড়ির কাছে মানুষের গোঙানির শব্দ পেয়ে নির্যাতিতা মহিলার মেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নির্যাতিতা অজ্ঞান হওয়ার আগে জানান, তাঁর সঙ্গে গুরুতর কিছু হয়েছে। তার জন্য দায়ী সুনীল ও হরি নামে দুই প্রতিবেশী। এরপরই তিনি সংজ্ঞা হারান।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে থানার ছাদ ভেঙে প্রাণ হারালেন সাব ইনস্পেক্টর
শনিবার দুপুরে ঘরেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে তাঁর আঘাতের অবস্থা বুঝতে পারেনি। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালে দেখা যায় তাঁর যৌনাঙ্গ ছিড়ে গিয়েছে। আঘাত এতটাই গুরুতর যে ভিতর থেকে শরীরের অংশ বেরিয়ে এসেছিল। প্রবল রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকদের অনুমান।
এই ঘটনায় হরি পালভি এবং সুনীল কুরকু নামে দুই ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। কিন্তু দুই সন্তানের মা আদিবাসী মহিলার নিরাপত্তা নিয়ে এই ঘটনার পরে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনা আদিম যুগের ‘জঙ্গল রাজ’কেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আইন শৃঙ্খলার ভয় যেখানে থাকে না সেখানেই এমন পৈশাচিক ঘটনা মহিলাদের সঙ্গে ঘটতে পারে, দাবি বিরোধীদের।