প্রতিবেদন : ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া দেয়নি কেন্দ্র। বন্ধ আবাসের টাকাও। রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে কেন্দ্রের সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ফের একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, কেন বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছেন। অবিলম্বে বাংলার বকেয়া দিন।
আরও পড়ুন-নিম্নচাপ-কাঁটায় টানা বৃষ্টির আড়ালে বাংলায় বর্ষা-প্রবেশ
এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য যে টাকা রাজ্যকে দেওয়া উচিত, তা থেকে লাগাতার বঞ্চনা করে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের থেকে বাংলা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা পায়। চার বছর ধরে রাস্তা উন্নয়নের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আর বাংলায় এসে মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী। এ-প্রসঙ্গে মোদির মিথ্যাচার ফাঁস করে, পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল জানায়, বাংলার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ২,৮৪১ কোটি টাকা আটকে রেখেছেন আপনারা। ২০২৩ সালে ‘পথশ্রী’ প্রকল্প শুরু হওয়ার পর ৩৮,৬৬৪ কিমি গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছে। ৫ কোটি কর্মদিবস তৈরি হয়েছে।
এদিন চাঁছাছোলা ভাষায় জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের টাকা দেননি, আবাসের টাকা দেননি, কোন মুখে কথা বলে। এদিকে আমাদের এখান থেকে জিএসটির টাকা তুলে নিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, বাংলার বাড়ি আপনার নামে ছিল। কিন্তু জমি আমরা দিয়েছি। গরিব মানুষগুলোর কী দোষ ছিল? সেই টাকা কেন বন্ধ করেছেন? কেন্দ্র ৬০ শতাংশ টাকা দেয়, রাজ্য ৪০ শতাংশ দেয়। তাহলে সব প্রকল্পে আপনাদেরই নাম যাবে কেন? সব থেকে বেশি দুর্নীতি আপনাদের সরকারই করে।
আরও পড়ুন-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে যৌথ বৈশ্বিক পদক্ষেপের সওয়াল অভিষেকের
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান করেছেন। আপনি আয়ুষ্মান হোন, ঈশ্বর আপনাকে ১৭৫ বছর বাঁচিয়ে রাখুন। আমরা আপনার আয়ুষ্মানের ভিক্ষে নেব না। আমাদের স্বাস্থ্য সাথী আছে। আমাদের ট্রিটমেন্ট বেস্ট ইন ইন্ডিয়া। আপনাদের উদ্দেশ্য খালি বাংলার এডুকেশন ভেঙে দাও, স্বাস্থ্য ভেঙে দাও, পরিকাঠামো ভেঙে দাও। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।