শান্তনু বেরা, এগরা : পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবার প্রথম তিনিই ‘টক টু এমএলএ’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তারই দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে আজ, মঙ্গলবার। ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে। কারণ প্রথম পর্বে যাঁরা ফোন করেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশ সুফল পেয়েছেন। মাঝের কয়েক মাসে অনেক কাজ হয়েছে। তাই দ্বিতীয় পর্বের টক টু এমএলএ কর্মসূচিতে ফোন করার জন্য মুখিয়ে আছেন স্থানীয়রা। অনেকে বিধায়ককে আগেভাগেই ফোন করতে শুরু করে দিয়েছেন। অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে আপ্লুত বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণকুমার মাইতি। প্রথম পর্বে এগরা, পানিপারুল, দুবদা, বালিসাই প্রভৃতি এলাকার মানুষ সমস্যা নিয়ে ফোন করেন। সেগুলোর বেশির ভাগেরই সমাধান হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। যেমন, দেবদাসপুরে একটা ভাঙা কাঠের সাঁকো টেন্ডার হয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পানিপারুলের সাইফুনে সেতু ছিল না।
আরও পড়ুন : কাঁথিতে পুর দুর্নীতির তদন্ত
নতুন সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। দুবদায় তিনটি কাঠের সাঁকোর টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। রাস্তার সমস্যার সমাধান হয়েছে। ছাত্রীরা অনেকে ভ্যাকসিন পাচ্ছিলেন না, ব্যবস্থা হয়েছে। বরিদায় নতুন রাস্তার উদ্বোধন হয়েছে। বরিদার একজনের ইলেকট্রিক বিলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েতের একজনের নতুন বাড়ি হয়েছে। যেখানে অন্ধকারে রাস্তায় বেরোনোর অসুবিধা ছিল, আলো লাগানো হয়েছে। এসব দেখেই এগরাবাসী বুঝে গিয়েছেন বিধায়ক তরুণবাবু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেন না।
আজ, মঙ্গলবার এগরা ১ ব্লকের কার্যালয়ে দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫টা টেলিফোনে সরাসরি কথা বলবেন তরুণকুমার মাইতি। জানালেন, ‘‘নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে শিখেছি, কীভাবে মানুষের সমস্যার পাশে দাঁড়াতে হয়। কীভাবে প্রতিশ্রুতি পালন করতে হয়। সেইমতো কাজ করছি।’’