প্রতিবেদন : চলতি বছরে ১০ জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। করোনা কালে মেলাকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় ই-রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মূলত, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। গঙ্গাসাগর মেলা ডট ইন-এ ক্লিক করে ই-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে প্রত্যেক দর্শনার্থীকেই। যাঁরা পারবেন না, তাঁদের জন্য অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থাও থাকছে। রেলস্টেশন, বাসস্টপ, ফেরিঘাট এবং বিমানবন্দরে কিয়স্ক তৈরি করা হবে। সেখানেও রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। রেজিস্ট্রেশনের সময় নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি, আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড কিংবা পাসপোর্ট পরিচয়পত্র হিসেবে দিতে হবে। তারপরেই একটি রিস্ট ব্যান্ড দেওয়া হবে মেলায় যাওয়া ব্যক্তিদের, যা হাতে লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে দুটি কাজ হবে, কেউ হারিয়ে গেলে চট করে খুঁজে পাওয়া যাবে ও মেলায় আগত ব্যক্তিদের সমস্ত তথ্য থাকবে সরকারের কাছে। করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা।
আরও পড়ুন : টক টু এমএলএ দ্বিতীয় পর্ব শুরু
তাই বাড়তি সতর্কতা রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ‘গঙ্গাসাগর মেলা ২০২২’ নামে একটি অ্যাপ বানিয়েছে রাজ্য সরকার। এই অ্যাপ মেলায় আগত দর্শনার্থীদের গাইড হিসেবে পথনির্দেশ দেবে। কখন কোথা থেকে গাড়ি পাওয়া যাবে, লঞ্চ পাওয়া যাবে, জোয়ার-ভাটার সময় কখন, যাবতীয় তথ্য এই অ্যাপের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন দর্শনার্থীরা। এই অ্যাপের মাধ্যমেই বিশ্বের দরবারে গঙ্গাসাগর মেলাকে তুলে ধরবে রাজ্য সরকার। রয়েছে অনলাইনে পুজো দেখার ব্যবস্থা। এরই সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে বিশেষ প্যাকেজ এনেছে রাজ্য সরকার। ‘সাগর ভ্রমণ’ নামে ওই প্যাকেজের মাধ্যমে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-রেজিস্ট্রেশন করে মেলায় আসতে পারবেন। বাবুঘাটের সরকারি অফিসে মেলার সমস্ত তথ্য এবং টিকিট পেয়ে যাবেন রেজিস্টার করা প্রার্থীরা। গাড়ি, লঞ্চ সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেবে প্রশাসন। এমনকী সমুদ্রতটে থাকার ব্যবস্থাও করবে প্রশাসন। চাইলে গাইড নিয়ে তীর্থভূমি ঘুরে দেখতেও পারবেন পুণ্যার্থীরা। পুজোর পর প্রসাদ, গঙ্গামাটি, পুণ্যস্নানের জল, চাইলে সেটাও বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।