আমেদাবাদ, ১ জুন : বৃষ্টির ছুতোয় ম্যাচটা ইডেন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমেদাবাদে। কিন্তু বৃষ্টি পিছু ছাড়ল না রবিবাসরীয় আইপিএল কোয়ালিফায়ার টু-র! অথচ ইডেনে এদিন সিএবি পরিচালিত ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুরের ম্যাচ হয়েছে খটখটে রোদে। রাতেও কলকাতা শহরে বৃষ্টি হয়েছে, এমন খবর নেই।
আর বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০৩ রান তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জবাবে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তুলেছে পাঞ্জাব কিংস। গতবার কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এবারের আইপিএল ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ইডেনে। এছাড়া কোয়ালিফায়ার টু-ও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংর্ঘষের কারণে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ছিল টুর্নামেন্ট। এরপর পরিবর্তিত সূচি ঘোষণার পর দেখা যায়, দুটি ম্যাচই ইডেন থেকে সরিয়ে আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সময় বিসিসিআই জানিয়েছিল, কলকাতায় জুনের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই ইডেন থেকে এই দু’টি ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক চক্রান্ত, প্রমাণ হল : অরূপ
অথচ রবিবার সেই বৃষ্টিই তাড়া করল আমেদাবাদকে! খেলা শুরুর আগে টসের পরেই বৃষ্টিতে ম্যাচ পিছিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি থামলে, জানানো হয়েছিল ৮.২৫ নাগাদ ম্যাচ শুরু হবে। কিন্তু ফের বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচ ক্রমশ পিছোতে থাকে। শেষ পর্যন্ত শুরু হয় ৯.৪৫ মিনিটে। তবে প্লে অফ বলে ওভার কমানো হয়নি। কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা হলেও, আমেদাবাদের আবহাওয়া কেমন থাকবে, সেটা আদৌ দেখা হয়েছিল তো! মাঝখান থেকে বঞ্চিত হলেও বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা ।প্রশ্ন উঠছে আমেদাবাদের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও। ইডেনের মতো পুরো মাঠ ঢেকে ফেলার ব্যবস্থা নেই এই মাঠে। এমনকী, ইডেনের নিকাশি ব্যবস্থাও অনেক ভাল। তাহলে কেন ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হল? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার (৮) উইকেট হারিয়েছিল মুম্বই। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৫১ রান যোগ করে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন জনি বেয়ারস্টো (৩৮) ও তিলক ভার্মা। বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পর, মুম্বইকে টানছিলেন তিলক ও সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু মাত্র এক ওভারের ব্যবধানে প্রথমে সূর্য (২৬ বলে ৪৪) ও তিলক (২৯ বলে ৪৪) প্যাভিলিয়নে ফিরলে ফের চাপ বাড়ে। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও (১৫) ভরসা দিতে পারেননি। তবে শেষদিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন নামন ধীর। তিনি মাত্র ১৮ বলে ৩৭ করে আউট হন।